216907

কেন হয় আঁচিল, কী করবেন

অনলাইন সংস্করণঃ- আঁচিল সাধারণত ছোট দানা থেকে বেশ বড় আকার ধারণ করতে পারে। এর বহির্ভাগ অমসৃণ কাঁটা কাঁটা হয়ে থাকে। বড়দের চেয়ে শিশুদের অধিক আঁচিল দেখা যায়। নখ কামড়ানোর অভ্যাস থেকে জিহ্বা বা মুখ গহ্বরের ভেতরও আঁচিল হতে পারে

আঁচিল ভাইরাসজনিত রোগ। যেকোনো বয়সের ছেলেমেয়ে অথবা পুরুষ বা মহিলার এ রোগ হতে পারে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের যেকোনো স্থান আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত লোকের সংস্পর্শে কিংবা তার ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ব্যবহার করলে, সেলুন থেকে কাঁচি ও ক্ষুরের সাহায্যেও ছড়াতে পারে। আঁচিল সাধারণত ছোট দানা থেকে বেশ বড় আকার ধারণ করতে পারে। এর বহির্ভাগ অমসৃণ কাঁটা কাঁটা হয়ে থাকে। বড়দের চেয়ে শিশুদের অধিক আঁচিল দেখা যায়। নখ কামড়ানোর অভ্যাস থেকে জিহ্বা বা মুখ গহ্বরের ভেতরও আঁচিল হতে পারে। হাত ও পায়ের পাতার আঁচিল সাধারণত ব্যথাযুক্ত হয়ে থাকে।

যাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সারা শরীরে প্রচুর আঁচিল হতে পারে। যাদের যৌনাঙ্গে আঁচিল আছে, তাদের সাথে যৌনমিলনে এ রোগ গুপ্তাঙ্গে ছড়াতে পারে। বিশেষ ধরনের মিলনের ফলে এটা পায়ুপথের চারধারেও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় গুপ্তাঙ্গের এ রোগ হরমোনের প্রভাবে বড় আকার ধারণ করে, যা অনেক সময় নরমাল ডেলিভারিতে বাধার সৃষ্টি করে।

চিকিৎসা
অনেক পদ্ধতির সাহায্যে আঁচিলের চিকিৎসা করা যায়। মূল উদ্দেশ্য হলো- ভাইরাস আক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা। যার ফলে আঁচিল ভাইরাস নির্মূল হতে পারে।

নন-সার্জিক্যাল
* পডোফইলাম : যা বিশেষভাবে ছোট ও নরম আঁচিলে লাগালে এটি ভালো হয়। নির্দিষ্ট নিয়মে এটা লাগাতে হয়। এটি ছাড়া * ফরমালিন * ক্যানথারিডিন * ৫ ফ্লোরেইরাসিল * রেটিনয়িক এসিড ইত্যাদি ব্যবহার করলে বিশেষ ক্ষেত্রে ভালো কাজ হবে।

ইনজেকশন
আঁচিলের মধ্যে * ইন্টারফেরন অথবা * ব্লিওমাইসিন ইনজেকশন দিলেও ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
সার্জিক্যাল
প্রচলিত * ক্রায়োথেরাপি * ইলেক্সকটরি অথবা * লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া যায়।
লেখক : চর্ম, যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ও কসমেটিক সার্জন, ইস্টার্ন প্লাজা, ঢাকা।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি মহিলাদেরও
ডা: মৌসুমী রিদওয়ান

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি মহিলাদেরও কম নয়। সাধারণের একটা ধারণা আছে, মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি পুরুষের তুলনায় কম। এ কথা অনেকটাই সত্য, তবে তা সারা জীবনের জন্য নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মাসিক বন্ধ হওয়ার পর মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি পুরুষদের মতোই বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিককালে হার্ট অ্যাটাক তথা করোনারি হৃদরোগ পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের মৃত্যু ও ভোগান্তির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান একটা নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ বয়স পর্যন্ত মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক থেকে নিরাপত্তা দান করে থাকে। নিরাপত্তা দানকারী দিকগুলো হচ্ছে- মেয়েলি হরমোন ইস্ট্রোজেন, যা মহিলাদের মাসিক বন্ধ হওয়া বা রজঃনিবৃত্তির আগ পর্যন্ত রক্তে উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান থাকে।

এ হরমোন করোনারি রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী উপাদানের মাত্রা ও কার্যকারিতা সীমিত রাখে। ইস্ট্রোজেন করোনারি রক্তনালীকে প্রসারিত রাখে এবং তাতে রক্তে জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। ফলে করোনারি ধমনি তথা হৃৎপিণ্ডের রক্তপ্রবাহ থাকে অনেকটা নির্বিঘ্ন। তবে রজঃনিবৃত্তির সাথে সাথে রক্তের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস পেতে থাকে এবং প্রাকৃতিক নিরাপত্তা ধীরে ধীরে অপসারিত হয়। এভাবে ষাটোর্ধ্ব পুরুষ ও মহিলা উভয়েই সমভাবে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়।

 

সূত্র নয়াদিগন্তঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.