229979

তরুণ তুর্কি দিয়ে ৯২’র স্বাদ ফেরাতে চায় পাকিস্তান

ডেস্ক রিপোর্ট : আর মাত্র এক সপ্তাহের অপেক্ষা। এরপরেই শুরু হবে ক্রিকেট মহাযজ্ঞ। লন্ডনের দ্য ওভালে ইংল্যান্ড ও দ.আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বাদশ আসর। যে আসরের আগে নিজেদের ঝালাইয়ের সিরিজে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে ধবল ধোলাই হয়েছে সরফরাজ বাহিনী। যদিও পাক বাহিনীর ব্যাটিং ছিল দেখার মতো। আসর শুরুর আগে যাই করুক না কেন, মূল লড়াইয়ে পাকিস্তান সব সময়ই আশা জাগানিয়া দল। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে আজ জেনে নেবো পাকিস্তান দলের সম্ভাবনা।

১২তম বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের অন্যতম বিশেষত্ব হলো এবারের সবচেয়ে কম বয়সী দল তারা। শ্রীলঙ্কা বুড়ো দলের তকমা পাওয়ার পর তরুণ দলের তকমা নিয়ে আসর শুরু করবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা সব ক্রিকেটারের বয়সের গড় ২৮.৩ বছর। মোহাম্মদ হাসনাইন, শাহিন আফ্রিদি ও শাদাব খানের মতো একেবারেই আনকোরা তারকা নিয়ে দল গড়েছে পাকিস্তান। যাদের কাণ্ডারী ভূমিকায় বিশ্বকাপে চমকে দিতে পারে মিকি আর্থারের শিষ্যরা।

১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে শিরোপা উৎসবে ভাসিয়েছিলেন ইমরান খান। বর্তমান তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী। দলকে ইংল্যান্ডে পাঠানোর আগে তিনি ডেকে নিয়ে আলাদাভাবে ছবক দিয়েছেন। হয়তো এই তরুণ দলই ৯২’র ইতিহাস অনুকরণ করে ইমরান খানের হাতে শিরোপা তুলে দিবে। ইমরান খান নিজেও দেশটির ক্রিকেট বোর্ডকে কঠোরভাবে হুশিয়ারী দিয়েছেন নিয়ন্ত্রিত ক্রিকেট খেলতে। এখন দেখার বিষয় অভিভাবকের উপদেশ কিভাবে মানছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটররা।

বিশ্বকাপ দলে শেষ মুহূর্তে ডাকা হয়েছে মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজকে। ফাহিম আশরাফ ও জুনায়েদ খানকে সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড সিরিজে বাজে পারফর্মের কারণে বাদ দেয়া হয়েছে। আর ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে অতীতে ভালো করার পুরস্কার স্বরূপ ডাক পেয়েছেন আমির। যার ১০ বছরের স্বপ্নও পূরণ হয়েছে।

ক্রিকেটের যে কোন আসরেই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দল হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করে পাকিস্তান। আন্ডারডগ হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করলেই শিরোপা জিতে নিজেদের জাত চেনায় পাকিস্তান। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতে সেটাই প্রমাণ করেছে। শক্তিশালী ভারতকে ফাইনালে একেবারে ধরাশায়ী করে প্রথমবার আইসিসির প্রতিযোগীতামূলক কোন আসরে ভারতের বিরুদ্ধে জয় পায় পাকিস্তান। সেই সঙ্গে জয় করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা। এবারের আসর ঘিরে বড় পরিকল্পনা পাকিস্তানের। কেননা ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৭ সালেই শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। যে তরুণদের উপর ভর করে স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান তাদের সাম্প্রতিক ফর্মও বেশ ভালো।

ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম ও শোয়েব মালিকরা আছেন নিজেদের সেরা ফর্মে। বোলিং লাইনে হাসান আলীর সঙ্গে জ্বলে ওঠার জন্য প্রস্তুত পরীক্ষিত অস্ত্র ওয়াহাব রিয়াজ। আর বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে সুযোগ পেয়ে সেটা স্মরণীয় করার অপেক্ষায় আছেন আমির।

শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিম ঘূর্ণি জাদুর পাশাপাশি ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠতে পারেন। শোয়েব মালিক যেন অভিজ্ঞতার এক ভাণ্ডার। মালিকের সঙ্গে আছেন আরেক অভিজ্ঞ তারকা মোহাম্মদ হাফিজ। সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়ররা ঠিক সময় মতো জ্বলে উঠতে পারলেই আবারও নিজেদের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ চেহারা দেখাতে সক্ষম হবে।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড : ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, আসিফ আলী, মোহাম্মদ হাফিজ, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ, হারিস সোহেল, শোয়েব মালিক, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও মোহাম্মদ হাসনাইন। আমাদের সময়.কম

পাঠকের মতামত

Comments are closed.