230680

কানাডায় গাঁজা সেবনে আক্রান্ত কিশোররা ভঙ্কর পরিস্থিতিতে আছে

যে সব কিশোর গাজায় সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে তারা তাদের সহপাঠীদের চেয়ে পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়ছে অন্তত ৩ বছর পর্যন্ত। এমন ৪ হাজার স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ওপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে তাদের দক্ষতার ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। যারা নিয়মিত গাজা খাচ্ছে তা মদপানের চেয়ে বেশি ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এসব কিশোর নিজেদের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছেন না। ডেইলি মেইল

এর আগে গাজা সেবন নিয়ে আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গাজা সেবনে মস্তিস্কের ওপর এমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে যা পরবর্তীতে শিজোফেরিনায় আক্রান্ত হতে হচ্ছে। এর কারণ গাজায় টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনোল নামে উপাদন রয়েছে। এরই প্রভাবে এধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। গাজায় আক্রান্ত হওয়ার পর কানাডার সেভেন গ্রেডে ১২ থেকে ১৩ বছরের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত কোর্স শেষ করতে চার বছর পর্যন্ত সময় নিচ্ছে। স্মরণশক্তি লোপ পাচ্ছে তাদের। বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার পরীক্ষায় তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসংলগ্নতা ধরা পড়েছে।

মানসিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিসিয়া কনরড বলেন, গাজা সেবনের পর থেকে তারা পড়াশুনায় খারাপ করতে শুরু করেছে এবং পরীক্ষা ভীতি তাদের পেয়ে বসেছে। এখন দেখছি মদের চেয়ে গাজার নেতিবাচক প্রভাব তাদের পেয়ে বসেছে। কিশোরদের ওপর গাজা এক মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে উঠেছে। লন্ডনের ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নিউরোসাইন্টিস্ট ড. স্টিভেন ল্যাভিওলেট্টি একই মত পোষণ করছেন। স্টিভেন বলেন, স্মরণ শক্তি লোপ পেয়ে গাজা সেবনকারীরা সামাজিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.