230665

যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি তাহলে বউকে ছেড়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করবো, বরিস জনসন

ডেস্ক রিপোর্ট : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর ওই পদে যাওয়ার আশা করছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন (৫৪)। তিনি নির্বাচিত হতে পারেন তাহলে বহুল কাঙ্ক্ষিত ওই ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়িতে ৩১ বছর বয়সী প্রেমিকা ক্যারি সায়মন্ডসকে বগলদাবা করে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের দ্রুত বিচ্ছেদ ঘটাতে চান তিনি। ডেইলি মেইল।

জনসন আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে স্ত্রী মেরিনা হুইলারের সঙ্গে বিচ্ছেদটা চূড়ান্ত করতে চান। এরপর কনজার্ভেটিভ দলের স্পিন বিষয়ক ডাক্তার, ৩১ বছর বয়সী ক্যারি সায়মন্ডকে নিয়ে শুরু করতে চান নতুন জীবন। একটি সূত্র ডেইল মেইলকে বলেছেন, এ নিয়ে জনসন তাদের চার সন্তানের সঙ্গে এক নৈশভোজে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। এ সময় তিনি ছিলেন ভীষণ আবেগপ্রবণ। সন্তানরাও আবেগতাড়িত ছিলেন। তাদেরকে জনসন বলেছেন, তিনি সঠিক কাজটিই করতে চান। বিচ্ছেদ হলে মেরিনা হুইলার একটি হ্যান্ডসাম চুক্তির মধ্যদিয়ে সরে যাবেন। জনসন আশা করছেন আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সেই বিচ্ছেদ ঘটবে।

উত্তর লন্ডনের ইলিংটনে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড দামের একটি বাড়ি রয়েছে জনসন ও মেরিনা হুইলার দম্পতির। সেই বাড়িটি বিক্রি করা হবে। বিচ্ছেদ হলে এই অর্থের বড় একটি অংশ পাবেন মেরিনা। এছাড়া তিনি জনসনের ভবিষ্যৎ বেতনের শতকরা ১৫ ভাগ পেতে পারেন। দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটলেও বরিস জনসন যদি একজন প্রধানমন্ত্রী হোন, তার এমন সুযোগ কখনো ধ্বংস করে দিতে চান না মেরিনা।

বরিস জনসন এবং মেরিনা হুইলারে বিচ্ছেদ পরিকল্পনার প্রথম প্রকাশ হয় গত বছর সেপ্টেম্বরে। সেসময় আরও খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, চার সন্তানের জনক জনসনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে মিসেস সায়মন্ডসের সঙ্গে। তারা যখন বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তখন বলেছিলেন, বন্ধু হিসেবে আমরা আমাদের সন্তানদের সামনের দিনগুলোতে সমর্থন দিয়ে যাবো।

বরিস জনসন এর আগে ১৯৮৭ সালে বিয়ে করেছিলেন অ্যালেগ্রা মোস্টিন ওয়েনকে। তিনি তার প্রথম স্ত্রী। এরপর জনসন প্রেমে জড়িয়ে যান মেরিনা হুইলারের। ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে তাকে ঘরে তোলেন। সেই স্ত্রীর সঙ্গে তিনি চারটি সন্তানের জনক। তাদের এই দাম্পত্যের মেয়াদ ২৫ বছর। এরপর জনসনের জীবনে এসেছেন ক্যারি সায়মন্ডস।

বর্তমানে ক্যারি সায়মন্ডস বসবাস করছেন দক্ষিণ লন্ডনে ১০ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি বাড়িতে। এই বাড়িতে মাঝে মাঝেই অবস্থান করেন জনসন। এসব খবর প্রকাশ হচ্ছে এমন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে সরে যাওয়ার পর তার পদে জনপ্রিয় যারা আছেন, তার মধ্যে অন্যতম বরিস জনসন। আগামী ৭ই জুন শুক্রবার পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন তেরেসা মে। তার পরেই কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের রণে নিজেকে হাজির করেছেন বরিস জনসন। এ পদে আরো বেশ কয়েকজন শক্তিশালী প্রার্থী আছেন। তাদের ভেতর থেকে দলীয় সদস্যরা ভোট দিয়ে একজন নেতা নির্বাচিত করবেন। নির্বাচিত ব্যক্তি একই সঙ্গে কনজারভেটিভ দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন। ব্রেক্সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন তেরেসা মে। ওদিকে সেই ব্রেক্সিট ইস্যুতে দৃঢ় একটি বক্তব্য রেখেছেন বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, চুক্তি করে অথবা চুক্তি ছাড়া যেভাবেই হোক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে আসা উচিত।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.