238363

দুবাই শাসকের স্ত্রী প্রিন্সেস হায়াকে শেখ পরিবারের গোপন তথ্য জেনে যাওয়ায় পালাতে হয়

ডেস্ক রিপোর্ট : দুবাই শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের ষষ্ঠ ও কনিষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসাইন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় দুবাই থেকে জার্মানী পালিয়েছেন।

তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, প্রিন্সেস হায়া সম্প্রতি তার স্বামীর কন্যা শেখ লতিফার দুবাই থেকে পালিয়ে আবার রহস্যজনকভাবে দুবাইতে ফিরে আসার পেছনের কিছু সত্য বিষয় জেনে যান। এ নিয়ে তার স্বামীর পরিবার থেকে চাপ আসতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন। এরপর পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। বিবিসি বাংলা।

শেখ লতিফার ওই ঘটনায় দুবাইয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রিন্সেস হায়া সেসময় আইরিশ প্রেসিডেন্ট ম্যারি রবিনসনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। দুবাই কর্তৃপক্ষ বলছে, শেখ লতিফা এখন দুবাইতে নিরাপদে আছেন, তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে।

শেখ লতিফা এক ফরাসি নাগরিকের সহায়তায় সাগর পথে পালিয়েছিলেন কিন্তু ভারতীয় উপকূলে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের বাধা দেয় ও পরে দুবাই পাঠিয়ে দেয়।

একটি সূত্র জানায়, প্রিন্সেস হায়াও অপহরণের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। যদিও লন্ডনে সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।

জর্ডানের বাদশাহ কিং আব্দুল্লাহর সৎবোন প্রিন্সেস হায়া। জীবনের নিরাপত্তাহীনতার পর প্রিন্সেস হায়া তার স্বামীর কাছ থেকে তালাক চান। বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনের পরপরই তিনি জার্মানি পালিয়ে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রিন্সেস হায়া দুই সন্তান জালিলা (১১) এবং জায়েদ (৭) এবং তিন কোটি ১০ লাখ পাউন্ড নিয়ে পালিয়েছেন। তিনি লন্ডনে আত্মগোপন করে আছেন বলে ধারণা কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের। সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ও প্রার্থনা করেন।

বিশ্বের অন্যতম ধনীদের একজন রশিদ মাকতুম জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন বলেও জানা গেছে। কিন্তু জার্মান কর্তৃপক্ষ তার সে অনুরোধ রাখেনি। যদি তাই হয়, তবে দুই দেশের মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা আছে।

দুবাই শাসকের মেয়ে প্রিন্সেস লতিফাকে ভারতীয় উপকূলে একটি নৌকা থেকে ধরে আনা হয় এবং তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ নেই। লতিফা বলেছিলেন, বাবার নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে তিনি দুবাই থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.