248064

গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প ৩২৮২ কোটি টাকায়

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের গ্রাম পর্যায়ে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ফাইভ-জি সেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ২৮২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড (টিবিএল)।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ফাইভ-জি সেবা প্রদানে আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে সংশোধনী প্রস্তাব প্রস্তুত করে পর্যালোচনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ২২ আগস্ট সকালে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিসের সভাপতিত্বে প্রকল্পটির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় প্রকল্পটির নানা দিক মূল্যায়ন করে ছাড়পত্র বা নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হতে পারে। পরে প্রকল্পটি পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হলে মন্ত্রী একনেক সভায় উপস্থাপন করবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির অনুমোদন দিতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন তিন হাজার ১৫১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ও টেলিটকের নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ১৩১ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

সূত্রমতে, প্রকল্পটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দহীন অনুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানত শহরাঞ্চলে বিদ্যমান টেলিটক ফোর-জি নেটওয়ার্ক ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে প্রসারিত করে গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণকে সুলভমূল্যে দ্রুতগতির ফোর-জি প্রযুক্তিনির্ভর ইন্টারনেট সেবা দেয়া এবং সরকারের ঘোষিত লক্ষ্য অনুসারে ২০২১-২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তিনির্ভর মোবাইল সেবা নিশ্চিত করাই এ প্রকল্পের লক্ষ্য।

এই প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে নয় হাজার ৪১০ সেট টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম কেনা, তিন হাজার বিটিএস সাইট নির্মাণ, ট্রান্সমিশন হাবে ১০০ সাইট প্রস্তুতকরণ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি কেনা, কাস্টমার কেয়ারের ৩০ সাইট ও আসবাবপত্র কেনা ইত্যাদি।

সূত্র জানায়, দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত এবং এই হার গ্রাম পর্যায়ে বেশি। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের ব্যবহারকারীদের ক্রয়ক্ষমতা অনেকাংশে কম। বেসরকারি অন্যান্য মোবাইল অপারেটর এই সকল প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ব্যবসায়িক ও লাভের হিসাব করে নেটওয়ার্ক বিস্তারে অনেকাংশেই অনিচ্ছুক। ফলে গ্রাম পর্যায়ে গ্রাহকরা শহরের তুলনায় অত্যাধুনিক মোবাইল ব্রডব্র্যান্ড সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে জনসাধারণের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগের অসম বন্টনের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। এই কারণে গ্রামের সবার মাঝে প্রাথমিকভাবে ফোর-জি ও পরে ফাইভ-জি সেবা পৌঁছে দিতেই এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.