254974

বাড়িতে বসেই পার্লারের মতো মেকাপ করা শেখুন

ডেস্ক রিপোর্ট : যেকোন পার্টি বা অনুষ্ঠানে যাবেন নো টেনশন। কারণ এখন আর মেকআপের জন্য পার্লারে যাবার দরকার নেই। চাইলে বাড়িতে বসেই পার্লারের মত হুবহু নিখুঁত ও চমৎকার মেকআপ করে নিতে পারবেন। চলুন কৌশল শিখে নেই্।

১) ত্বক পরিষ্কার করা প্রথমে মেকআপের জন্য ত্বককে তৈরি করুন। ভাল মানের ফেইস ওয়াস বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়েঁ ফেলুন।

২) ময়েশ্চারাজিং হালকা কোন ময়েশ্চারাজিং ক্রিম বা লোশন দিয়ে কপাল,নাক,মুখ,চোখের চারপাশে ম্যসেজ করুন। ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে লোশন বা ক্রিম ত্বকের সাথে মিশে যায়।

৩) ফাউন্ডেশন পারফেক্ট মেকআপ শুরু হয় ভালো বেস দিয়ে। বেসের প্রথম শর্ত হল নিজের ত্বক অনুযায়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা। ফাউন্ডেশন নির্বাচন করতে হবে নিজের গায়ের শেড থেকে এক অথবা দুই শেড হালকা। হালকা রং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাবে। মুখ তৈলাক্ত হলে পাউডার ফাউন্ডেশন লাগান।
৪) কনসিলার কনসিলার আপনার মুখের দাগ,চোখের নিচের কালি ঢেকে দেয়। নিজের স্কিনটোনের সাথে মিলিয়ে কনসিলার কিনতে হলে আপনার ফাউন্ডেশন থেকে অর্ধেক শেড হালকা থেকে শুরু করুন। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকলে সবুজ বা হলুদ রঙের কনসিলার বেছে নিলে ভালো কাজ করবে।

৫) ফেইস পাউডার বড় মেকআপ ব্রাশ দিয়ে সম্পূণ মুখে ফেইস পাউডার ব্রাশ করুন। পাউডার পাফ অথবা ফেইস পাউডারের সাথে দেওয়া স্পঞ্জ দিয়ে হাল্কা করে বেইজের উপর বুলিয়ে বেইজ সেট করে নিন।

৬) চোখের মেকআপ চোখের সাজে শুরুতে চোখের ওপরের পুরো জায়গায় আই প্রাইমার দিন। এরপর আইশ্যাডো দিতে হবে। ড্রেসের সাথে মিলিয়ে দুই বা তিন শেডের আইশ্যাডো দিতে পারেন।

৭) ফলস ল্যাশেস চোখ দুটোকে চটজলদি বড় আর মায়াবি করে ফেলতে কৃত্রিম পাপড়ি জুড়ি নেই। বাজারে নানা দৈর্ঘ্য ও ডিজাইনের কৃত্রিম পাপড়ি পাওয়া যায়।পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।

৮) আইলাইনার আইলাইনার চোখের ওপরে বা নিচে দিতে হবে। লিকুইয়েড,জেল,পেন্সিল যেকোন আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। বিকল্প হিসাবে কাজল ও ব্যবহার করতে পারেন।

৯) মাশকারা চোখ আকর্ষণীয় করার জন্য ঘন করে মাশকারা দিতে হবে। একবার মাশকারা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে আবার মাশকারা দিন।

১০) ভ্রু-র সাজ ভ্রু কে ন্যাচারাল লুক দিতে চাইলে ভ্রু-র রঙ এর থেকে হালকা রঙ-এর আইশ্যাডো বেছে নিন। কাজল দিয়ে হালকা করে ভ্রু একেঁ নিন। এরপর আইব্রো ব্রাশ দিয়ে ভ্রু র শেপ ঠিক করে নিন।

১১) লিপিস্টিক: সবশেষে মেকআপের সাথে মিলিয়ে পছন্দ মত লিপিস্টিক ব্যবহার করুন।

কেমন ত্বকে কেমন ফাউন্ডেশন?

ফাউনডেশন সব সময় হাতে লাগিয়ে দেখে কিনতে হয়। আর অবশ্যই ভালো ব্রান্ডের ফাউনডেশন নিবেন। আপনার স্কিনের রঙের থেকে ১ অথবা ২ টোন হালকা শেডের ফাউনডেশন নেবেন। সেই ফাউনডেশনটা নিজের চোয়াল বরাবর বা কপালে লাগাবেন আর সেটাকে ন্যাচারাল লাইটে দেখবেন আপনার স্কিনের সাথে যাচ্ছে কিনা।

মনে রাখবেন ভালো ফাউনডেশনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল সেটা খুব সহজেই স্কিনে মিশে যায়। মুখে যদি কোন বলিরেখা থাকে বা যদি কোন দাগ ছোপ অথবা আনইভেন স্কিন টোন থাকে সেগুলোকে সহজে ঢেকে দেয়। সঠিক ফাউনডেশন হল সেটাই যা লাগালে বোঝাই যাবে না যে মেকআপ করা হয়েছে অথচ মুখটাকে একই সাথে উজ্জ্বলও দেখাবে।

স্কিন টাইপ বুঝে ফাউন্ডেশন বাছায় করুন

  • যদি আপনার স্কিন অয়েলি হয় তাহলে আপনি সেইসব ফাউন্ডেশন কিনুন যেগুলোর বোতলের গায়ে “অয়েল ফ্রি” বা “অয়েল কন্ট্রোল” বলে লেখা আছে। যে সমস্ত ফাউন্ডেশন ম্যাট ফিনিশ বা ম্যাট লুক দেয় সেগুলো এই ধরনের স্কিনের জন্য খুব কার্যকরী। একটা ছোট্ট টিপস দিয়ে রাখছি। ফাউন্ডেশন দেবার পরে পাউডার একটু চেপে চেপে লাগাবেন তাহলে সেটা ফাউনডেশনকে তাড়াতাড়ি শুকনো হতে আর স্কিনের সাথে মিশে যেতে সাহায্য করবে। অবশ্যই পাউডার ঘষে ঘষে লাগাবেন না।
  • শুষ্ক বা ড্রাই স্কিনের জন্য আর্দ্রতাযুক্ত বা ময়েশচারাইজারযুক্ত ফাউন্ডেশন প্রয়োজন। যেকোনো ক্রিম বেজড ফাউন্ডেশন কিনতে পারেন। সেইসব ফাউন্ডেশন কিনুন যেগুলোর বোতলের গায়ে “হাইড্রেটিং” বা “ময়েশচারাইজার রিচ” বলে লেখা আছে। ম্যাট ফিনিশিং এর ফাউন্ডেশন লাগাবেন না তাহলে আপনাকে নিষ্প্রভ দেখাবে।
  • ক্রিম টু পাউডার বেজড ফাউন্ডেশন কম্বিনেশন ত্বকের জন্য খুব ভালো ভাবে কাজ করে। আপনার যদি এই ধরনের স্কিন হয় তাহলে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ভালো।
  • যদি আপনার স্কিনে বলিরেখা দেখা যায় তাহলে আপনি মাঝারি কভারেজ যুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। ভুলেও হেভি কভারেজ যুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না তাহলে সেটাতে বলিরেখা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
  • যাদের স্কিন খুব ভালো মানে কোন দাগ ছোপ নেই এবং যারা একটা ন্যাচারাল লুক চান তারা লাইট কভারেজ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ফাউন্ডেশন গরমকালে ভালো চলতে পারে আর রোজকার অফিস, কলেজে যেতে এরম কভারেজের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যায়।
  • যাদের আনইভেন টোনের স্কিন বা যাদের সামান্য ব্লেমিসেস আছে তারা মিডিয়াম কভারেজের ফাউন্ডেশন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারবেন।
  • হেভি কভারেজে ফাউন্ডেশন মুলত ফটো স্যুট, পার্টি ইত্যাদিতে চলে । এছাড়া যাদের স্কিনে খুব বেশি দাগ আছে তারা সেগুলো ঢাকতে এই ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন।

…আজকাল বাজারে যে ফাউন্ডেশনগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হয় পিঙ্ক বা ইয়েলো শেডের হয়ে থাকে। যদি আপনি খুব ফর্সা হন তবেই পিঙ্ক শেডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। সাধারণত এশিয়ানদের হলদে শেডের ফাউন্ডেশন সব থেকে বেশি স্যুট করে। আর ফাউন্ডেশন সাধারণত সূর্য তাপ থেকে হালকা প্রোটেকশন দেয়। তাই শুধু ফাউন্ডেশন লাগিয়েই রোদে বের হবেন না তাতে স্কিন ট্যান হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই সানস্ক্রিন প্রথমে লাগিয়ে তার উপরে ফাউন্ডেশন লাগাবেন। এতে সান ট্যান হবে না। যদি সানস্ক্রিন না থাকে তাহলে আপনি বেবি ক্রিমও লাগিয়ে নিতে পারেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.