255707

৩০ ঘণ্টা পরেও শিশুটিকে কূপ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি

ডেস্ক রিপোর্ট : দু-বছরের শিশুটিকে উদ্ধারে এনডিএফের বিশেষ একটি টিম রোববার সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। তামিলনাড়ুর ত্রিচির পুলিশসুপার জিয়াউল হক জানান, উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে। ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পরেও তামিলনাড়ুর ২ বছরের শিশুটিকে কূপ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার বাবার সঙ্গে খেলতে খেলতে মুখখোলা পরিত্যক্ত একটি কূপে পড়ে যায় বাচ্চাটি। তার পর, এতটা সময় অতিবাহিত হলেও অপরিসর কূপের গভীর থেকে তাঁকে তুলে আনতে পারেননি উদ্ধারকারী। বাচ্চাটিকে সুস্থ রাখতে ওই কূপের ভিতরে ক্রমাগত অক্সিজেনের যোগান দেওয়া হচ্ছে।

অতীতের এ ধরনের ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, ওই কূপের সমান্তরালে নতুন আর একটি চওড়া মুখের কূপ খননের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু, পাথুরে অঞ্চল হওয়ায়, সেই পরিকল্পনা বিফলে যায়। উদ্ধারকাজে ভাড়া করে তিনটে রোবটিকস ডিভাইস আনা হয়েছিল। সেগুলিও কাজে লাগেনি। এহেন পরিস্থিতিতে চেন্নাইয়ের এনডিআরএফের টিমের মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছেন উদ্ধারকারীরা।

শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর রাত থেকে মাদুরাই, নামাক্কা, কোইম্বাটুর ও চেন্নাইয়ের চারটে দল তাদের তৈরি বিশেষ ডিভাইসে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মেলেনি। জানা গিয়েছে, কূপের ব্যস এতটাই অপরিসর, উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত মেশিনগুলি কাজ করতে পারছে না।

শুক্রবার বিকেলে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি জেলার মানাপ্পারাই শহরের অদূরে নাদুক্কাট্টুপাট্টি গ্রামে বাড়ির অদূরেই নিজেদের ফার্মে বাবার সঙ্গে খেলছিল দু-বছরের সুরজিত্‍‌ উইলসন। সেখানেই ছিল ২৫ ফুট গভীর একটি পরিত্যক্ত কূপ। সেই কূপের মুখে চাপা দেওয়া ছিল না। খেলতে খেলতে বেসামাল হয়ে চোখের নিমেষে ওই গভীর কূপে পড়ে যায় সুরজিত্‍‌। বাচ্চাটির বাবা তত্‍‌ক্ষণাত্‍‌ দমকলে খবর দেন। খবর যায় উদ্ধারকারী দলের কাছেও। গভীর ওই কূপ থেকে এখনও তাঁরা শিশুটিকে বের করে আনতে সক্ষম হননি।

তামিলনাড়ুর ওই ঘটনাস্থলে শুক্রবার রাতেই পৌঁছে যান রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় ভাস্কর, পর্যটনমন্ত্রী ভেল্লামান্দি নটরাজন এবং তিরুচির কালেক্টর এস সিবারাসু। গত রাত থেকেই তাঁরা উদ্ধারকাজে তদারকি করছেন।

গত জুন মাসে পাঞ্জাবের সাংগ্রুর জেলার ভগবানপুরা গ্রামে দু’বছরেরই একটি শিশুকে ১০৯ ঘণ্টার লড়াই শেষে কূপ থেকে উদ্ধার করেও, শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। ১৫০ ফুট গভীর একটি কুয়োয় প্রায় ৫ দিন ধরে আটকে ছিল দু’বছরের ওই শিশুটি। বহু চেষ্টার পর তাকে তুলে আনা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। পঞ্জাবের ওই শিশুটির নাম ছিল ফতেবীর সিংহ। বহু দিন ধরে কুয়োটি থেকে জল তোলা হয়নি বলে সেটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এই সময়

পাঠকের মতামত

Comments are closed.