256308

স্তন ক্যান্সার ঠেকাতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন

ডেস্ক রিপোর্ট : আর্লি স্টেজে ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়লে সহজে চিকিৎসা করা যায়। ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে। – আনন্দবাজার

জেনে নেয়া যাক কী কারণে ব্রেস্ট ক্যানসার হয় –

১) ব্রেস্ট ক্যানসারের অন্যতম কারণ বাড়তি ওজন। ভাজাভুজি ও তৈলাক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খেলে ওজন বেড়ে যায়, ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

২) বয়স একটা বড় রিস্ক ফ্যাক্টর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

৩) দেরিতে বিয়ে বা বিয়ে না করা কিংবা সন্তান না হওয়া স্তন ক্যানসার ডেকে আনতে পারে।

৪) অল্প বয়সে মেনার্কি অর্থাৎ পিরিয়ড শুরু হওয়া এবং বেশি বয়সে মেনোপজ হলে দীর্ঘ দিন ইস্ট্রোজেনের সঙ্গে সহবাস করতে হয়। ইস্ট্রোজেন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫) সন্তানকে ব্রেস্ট ফিডিং না করালেও ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।

৬) অ্যালকোহল, তামাক সেবন অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৭) রেডিয়েশনে এক্সপোজার হলেও ঝুঁকি থাকে।

বংশে এর আগে কেউ আক্রান্ত হলে অর্থাৎ মা, বোন, দাদী, খালার ব্রেস্ট বা ওভারি ক্যানসার থাকলে ঝুঁকি বেশি।
বিএআরসিএ ১, ও বিএআরসি ২, জিন থাকলে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেশি।

কী করে বুঝবেন –

১. বয়স ৩০ হলেই নিয়মিত ব্রেস্ট পরীক্ষা করা উচিৎ। কোন রকম অস্বাভাবিকতা দেখলে সতর্ক হন।

২. কোন ব্যথাহীন ফোলা অংশ আছে বুঝলেই ডাক্তার দেখান।

৩. স্তনের ত্বকের কোন অংশ পুরু হয়ে গেলে সতর্ক হন।

৪. লালচে বা ঈষৎ কমলা রঙের ত্বক দেখলে ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনার কথা ভাবতে হবে।

৫. নিপলের গঠন বদলে গেলে বা ভিতরের দিকে ঢুকে গেলে কিংবা কোন ডিসচার্জ হলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখান।

৬. ব্রেস্টের আকারের হেরফের হলে সতর্ক হতে হবে।

৭. যেকোন ক্যানসারের একটা উল্লেখযোগ্য উপসর্গ ওজন কমে যাওয়া। কোন কারণ ছাড়া ওজন কমলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখান।
অ্যাটাক করুন আর্লি স্টেজে –

সন্তানকে মায়ের দুধ দিয়ে ক্যানসার অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। ওজন ঠিক রাখতে শরীর বুঝে প্রয়োজনীয় ডায়েট আর এক্সারসাইজ করা দরকার। আর ৩০ পেরোলে সেলফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশন ও প্রয়োজনে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি এবং ম্যামোগ্রাম করা দরকার।
সেন্টিনাল নোড ম্যাপিং করে ব্রেস্ট বাঁচিয়ে চিকিৎসা

ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়লে অসুখকে নির্মূল করার একমাত্র উপায় সার্জারি করা। অপারেশনের কথা শুনে পিছিয়ে গেলে রোগ ছড়িয়ে পড়ে। সেন্টিনাল নোড টেকনিকের সাহায্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্রেস্ট বাঁচিয়ে সার্জারি করা হয়।

ব্রেস্ট ক্যানসার মূলত এলএলবিবি অর্থাৎ লাং, লিভার, ব্রেন ও বোন এই সব অংশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই শুরুতে অন্যান্য থেরাপির সাহায্য না নিয়ে ক্যানসার বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত। ক্যানসার আক্রান্ত টিউমার বড় হয়ে গেলে কেমোথেরাপির সাহায্যে টিউমার ছোট করে নিয়ে সার্জারি করা হয়। দরকার মতো কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.