‘পরকীয়ায়’ জড়ালেন শরিয়ার বিধানদাতা মুফতি নিজেই, এরপর যা হলো…
শুধু বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কেই জড়াননি, এতে ধরাও পড়েন তিনি। এজন্য তাকে ২৮ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে। তিনি কোনো সাধারণ জনতা নয়, বরং শরিয়ার বিধানদাতা এক মুফতি। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ঘটেছে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ওই মুফতির নাম হলো-মুখলিস বিন মোহাম্মদ (৪৬)। তিনি আচেহ প্রদেশের বেসার জেলায় বসবাস করেন। এই প্রদেশে কঠোর শরিয়া আইনের খসড়া করতে সহায়তা করে আচেহ ওলামা কাউন্সিল (এমপিইউ)। সেই কাউন্সিলের মুফতি ছিলেন মুখলিস বিন মোহাম্মদ।
জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে মুখলিস বিনকে দেশটির কর্মকর্তারা এক বিবাহিত নারীসহ একটি পর্যটন উপকূলের পার্ক করা একটি গাড়ি থেকে আটক করে। তিনি ওই নারীর সঙ্গে ‘পরকীয়ায়’ জড়িত ছিলেন।
এর জেরে গত বৃহস্পতিবার মুফতি মুখলিস বিন ও ওই নারীকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুফতি মুখলিস বিনকে ২৮ বার এবং ওই নারীকে ২৩টি বেত্রাঘাত করা হয়।
বেসারের ডেপুটি মেয়র হুসাইনি ওয়াহাব বলেন, ‘এটা আল্লাহর আইন। ওলামা কাউন্সিলের সদস্য হলেও কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে বেত্রাঘাত করতে হবে।’
মুখলিসকে ওলামা কাউন্সিল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানান বেসারের ডেপুটি মেয়র।
উল্লেখ্য, আচেহ প্রদেশে ২০০৫ সাল চালু রয়েছে শরিয়া আইন। বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক, সমকামিতা ও জুয়ায় কেউ দোষী হিসেবে প্রমাণিত হলে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়। এ ছাড়া সেখানে মদপান, অ্যালকোহল উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ।