256786

নিবন্ধন সনদ একজনের, চাকরি করেন আরেকজন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অন্যের সনদে ৯ বছর শিক্ষকতা করেছেন সরকারিকৃত বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগিস অনার্স কলেজের প্রভাষক এমদাদ হোসেন। কিন্তু সম্প্রতি ধরা পড়েছেন তিনি। যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি নিজের দাবি করে ২০১০ সাল থেকে চাকরি করছিলেন এমদাদ তার মূল মালিক জনৈক রফিকুল ইসলাম। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের যাচাইয়ে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এ দিকে অন্যের সনদে চাকরি করা প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছে এনটিআরসিএ। এমদাদ হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সরকারিকৃত বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগিস অনার্স কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। সে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বেটখৈর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, কলেজে অনার্স খোলার জন্য ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেন তৎকালীন অধ্যক্ষ আব্দুল মোতালেব ও পরিচালনা পর্ষদ। সেই সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে নিয়োগ পান এমদাদ হোসেন। তার জমা দেয়া নিবন্ধন সনদের রোল নম্বর- ৪২০৩০০৬৪ ও রেজি নম্বর-৭১০০৫৬৭। এরপর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে ২৭১টি কলেজের সাথে বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগিস অনার্স কলেজটি সরকারি করা হয়। এরপরে কলেজের শিক্ষকদের আত্তীকরণের লক্ষ্যে শুরু হয় কাগজ পত্র যাচাই বাছাই। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষকদের নিবন্ধন সনদগুলো পরিক্ষার জন্য গত ১ অক্টোবর এনটিআরসিএতে পাঠায় কলেজ কতৃপক্ষ।

কিন্তু প্রভাষক এমদাদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি অন্যের বলে শনাক্ত করেছে এনটিআরসিএ। গত ২৪ অক্টোবর কলেঝে পাঠানো এক চিঠিতে এনটিআরসি জানায়, যে নিবন্ধন সনদটি প্রভাষক এমদাদ নিজের বলে দাবি করছিল তার প্রকৃত মালিক মো. রফিকুল ইসলামের। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩য় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪২০৩০০৬৪ রোল নম্বরের সনদটি অর্জন করেছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম।

গত ২৪ অক্টোবর কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর পাঠানো চিঠিতে, অন্যের সনদ নিয়ে শিক্ষকতা করা প্রভাষক এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেন এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম। তবে. মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ‘ম্যানেজ’ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, কলেজের অনেকের নিয়োগ পত্রেই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে। সূত্রের দাবি, সঠিক তদন্ত করা হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

এদিকে অন্যের সনদে চাকরির বিষয়টি জানাজানি হলে গাঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত প্রভাষক এমদাদ হোসেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.