সিঙ্গাপুরকে অনুরোধ করা হয়েছে কারা ক্যাসিনো খেলেছে, সংসদে বললেন প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট : গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস, জুয়াসহ সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসহ সব সেক্টরে এবং স্থানে সরকারের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকারি কর্মচারিসহ অপরাধী যেই হোক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে অনুসন্ধানপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমাজের সব স্তর থেকে অপরাধ নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে দলমত নির্বিশেষে সব ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দুর্নীতিসহ সরকার সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থসম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীসহ অপরাধী যেই হোক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে অনুসন্ধান করে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার দেশের জনগণের কল্যাণে ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের পাশাপাশি ক্যাসিনো, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনও কাজ করছে। ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন ১৬টি ফাঁদ মামলায় ৬৮ জন আসামি গ্রেপ্তার করেছে। কারা কারা অভিজাত গাড়ি কিনেছে সে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান। সব দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
