258678

পেঁয়াজ নিয়ে ফেসবুকে হাঁসি-ঠাট্টা ও ট্রল

দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম নিয়ে চলছে যেমন আলোচনা-সমালোচনা, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেঁয়াজকে ঘিরে চলছে ব্যাপক ট্রল। পেঁয়াজ নিয়ে হাস্যরসাত্মক সব মন্তব্য ও ভিডিওতে ভরে যাচ্ছে ফেসবুকের ওয়াল।

পেঁয়াজের দামের এ উর্ধ্বগতি গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে। প্রতিবেশী দেশ ভারত রফতানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণেও পেঁয়াজের বাজার অস্থির হতে শুরু করেছে।

নিত্যপণ্য পেঁয়াজের দাম নিয়ে এসব ট্রল দেখে নিশ্চয় অনেকেই কষ্ট পাচ্ছেন আবার হয়তো কেউ হেসেই কুটি কুটি হচ্ছেন। যাই ভাবুন না কেন? পেঁয়াজের এই দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি চলছে ব্যাপক ট্রল।

ফারহানা জেসমিন নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, পাচ্ছেন বিয়ের দাওয়াত? কি গিফট দিবেন বুঝে উঠতে পারছেন না? চলতি বিয়ের মৌসুমে কিন্তু দিতে পারেন মহামূল্যবান এই (পেঁয়াজ) উপহার।

কামাল চৌধুরী নামের ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, আর সোনার পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করবে না। এবার পেঁয়াজ দিয়ে মালা বানিয়ে প্রেমিকা মহিলারা চুলের খোপা বাঁধবে। পেঁয়াজের মালা গলায় দিয়ে হাটবে।ফাবেহা জামান লাবন্য লিখেন, পেঁয়াজ তো মনে হচ্ছে ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ফেলবে!

একজন লিখেছেন পেঁয়াজ কাঁটতে গিয়ে আগে বউ কাঁদতেন, এখন কিনতে গেলে কাঁদেন জামাই। অনেকে আবার পেঁয়াজ বিরোধী আন্দোলনেও নেমে পড়েছেন।কেউবা আবার পেঁয়াজ কিস্তিতেও কেনার কথা ভাবছেন। কেউবা চলমান বিভিন্ন ঘটনার সাথে মিলিছেন পেঁয়াজকে। অনেকেই নিজের প্রোফাইল পিকচার ও কাভার ফটোতে পেঁয়াজের ছবি দিয়ে করছেন প্রতিবাদ।

কাজী প্রকৃতি আহমেদ একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। যেখানে লেখা, একটি মেয়ে তার ছেলে বন্ধুকে বলছে, ‘বেবি, আমাকে কোন একটি দামী স্থানে নিয়ে যাও’। পরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পেঁয়াজের বিশাল স্তূপের ওপর তারা বসে আছেন।এর মধ্যেই পেঁয়াজ ছাড়া রান্না এবং পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করার আহবান জানানো হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বিপ্লব হান্নান একটি ছবি প্রকাশ করেছেন, রান্নায় এক পেঁয়াজের বেশি নয়, অর্ধেক হলে ভালো হয়!

এদিকে, রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর জিগাতলা, কারওয়ান বাজার এবং রায়েরবাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। এছাড়া দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজ ২০০ টাকা এবং মিশরের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে।শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কার্গো বিমানে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান দেশে আসছে মঙ্গলবার।

এর আগে, শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তুরস্ক, মিসর, আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরিভিত্তিতে কার্গো বিমানে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, অল্প সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এছাড়া, একইসঙ্গে সমুদ্রপথে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশের পথে রয়েছে। পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় চালান শিগগিরই দেশে পৌঁছবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.