259852

একটি রোবট মন্দিরের পুরোহিত হয়ে মন্ত্র পাঠ করাচ্ছেন!

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রাচীন একটি বৌদ্ধ মন্দির, ৪০০ বছরের পুরনো। সেখানকার পুরোহিত কি-না একটি রোবট! নাম তার মিন্দার। জাপানের হনশু দ্বীপাঞ্চলের কিয়োটো শহরে অবস্থিত এই মন্দিরটি। তরুণ প্রজন্মকে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি প্রভাবিত করতেই নয়া এই কৌশল বাতলেছেন কর্তৃপক্ষ।

কিয়োটোর কোডায়জি মন্দিরে বৌদ্ধদের করুণা দেবী কাননের অবতার হিসেবে এ রোবট দর্শনার্থীদের মন্ত্র পড়ায়। মন্দিরটির অন্যতম পুরোহিত তেনশো গোটো বলেন, এই রোবটটি কখনোই মারা যাবে না, এ রোবট একদিন বিপুল প্রজ্ঞার অধিকারী হবে।

জানা গেছে, রোবটটি তৈরিতে লেগেছে দশ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা)। ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস বিভাগের অধ্যাপক হিরোশি ইশিগুরো এটির জনক। রোবটটি ঘাড়, হাত ও মাথা নাড়াতে পারে। মানুষের চামড়ার সঙ্গে মিল রেখে এর হাত, মাথা ও কাঁধ সিলিকন দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়েছে। প্রার্থনার ভঙ্গিতে দুই হাত জড়ো করে, প্রশান্ত কণ্ঠস্বরে কথা বলে মিন্দার।

চারপাশে তার উন্মুক্ত শীর্ষের মাথা এবং সাপের ক্রেনিয়াল গহ্বর পূরণ করে। অবশ্য পুরোহিত হিসেবে রোবট নিযুক্ত করাটা বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্রতা নষ্ট করা হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকেই। এছাড়া অর্থ লাভের আশায় পর্যটকদের আকর্ষণ করতেই এ ব্যবস্থা বলেও অনেকে সমালোচনা করেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোটো।

তিনি বলেন, পুরোহিত বেশে রোবটকে দেখে পশ্চিমারা বেশি হতাশ। এটি হতে পারে বাইবেলের প্রভাব। তারা রোবটকে ফ্রাঙ্কেস্টাইনের সঙ্গে তুলনা করে। জাপানিদের রোবট নিয়ে কোনো সংস্কার নেই। আমরা ছোটবেলা থেকেই কমিকস পড়ে বড় হই, আর সেখানে রোবট আমাদের বন্ধু। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এতোটাই উন্নত স্তরে পৌঁছেছে যে, বুদ্ধ রোবট অবতারেও রূপান্তরিত হতে পারেন বলে আমরা মনে করি। সূত্র: আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

পাঠকের মতামত

Comments are closed.