260183

চুইংগামে মুখের লালায় চিহ্নিত করা হলো ৬ হাজার বছর আগের নারী

ডেস্ক রিপোর্ট : কঙ্কাল নয়, ডেনমার্কে পাওয়া যায় লোলা’র খাওয়া চুইংগামের একটি অংশে লেগে থাকা মুখের লালা। ধারণা করা হচ্ছে, সে কোন গাছের আঠালো রস জাতীয় কিছু চিবিয়ে ছিলো। সেখান থেকেই মিলেছে তার পরিপূর্ণ জিনম। প্রত্নত্বত্তবিদদের কাছে এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবিসি

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এতো পুরাতন কোন মানুষের হাড় পাওয়া যায় প্রায়শই। কিন্তু হাড় ব্যতীত মানুষের পরিপূর্ণ জিনম থেকে ডিএনএ পাওয়া এবারই প্রথম। যা থেকে দারুণ কার্যকরভাবে এই নারীর প্রতিচ্ছবি তৈরি করেছে গবেষকেরা।

জানা যায়, কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রথম এই নারীর ডিএনএ খুঁজে পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হেনা স্কুডার বলেন, চুইং গাম বলে আমরা যেটা বোঝাচ্ছি সেটা আসলে একটি গাছের কস। যা ওই নারী চাবিয়ে ছিলো। সেখানে এই নারীর দাঁতের ছাপও পাওয়া যায়। আমরা সেই সময়কার কোন মানুষের পরিপূর্ণ ডিএনএ এতোদিন পায়নি। গবেষক দল জানায়, এই নারীর গায়ের রং কিছুটা কালো ছিলো। আর চোখ ছিলো নীল। তার চুল ছিলো বাদামী বর্ণের।

তার জেনেটিক ডিকোডিং করে গবেষকরা ধারণা প্রকাশ করে, এই নারী ইউরোপের মূল ভূখন্ডের শিকারি গোষ্ঠীদের একজন ছিলো। স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের মতো নয় সে। আর তার প্রমাণ বহন করছে বাদামী চুল ও নীল চোখ। বরফ যুগের সময় যখন হিমবাহের প্রকোপ কমে আসে তখন নিজ গোষ্ঠীর সঙ্গে সে উত্তর ভূখন্ডের দিকে এসে বসবাস শুরু করে।

এ প্রসঙ্গে ড. হেনা বলেন, এই ডিএনএ থেকে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তা থেকে বোঝা যায় আমাদের পূর্বসূরিরা কেমন ছিলেন। তাদের খাদ্যাভ্যাস কী ছিলো। কিভাবে তার জীবন যাপন করতো।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.