260210

নাসায় যাচ্ছে বাদাম বেচে সংসার চালানো সেই কলেজছাত্রী!

ডেস্ক রিপোর্ট : বাবা বাড়িতে না থাকার কারণে সংসার চালাতে হয় তাকে। উচ্চ মাধ্যমিকের এই ছাত্রী বাদাম বিক্রি করে ও টিউশনি করে যা রোজগার হয় তা দিয়েই সংসার চলে।

পাশাপাশি মানসিক রোগী মা এবং ছোট ভাইয়ের দেখভালও করতে হয় ভারতের তামিলনাড়ুর জয়লক্ষ্মীকে।

জয়লক্ষ্মী এতকিছু করার পরেও সে জোরকদমে চালিয়ে যাচ্ছে পড়াশোনা। আর সেই মেয়েই এবার পাড়ি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে, সেটাও নাসায়।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করতে, কথা বলতে। ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান প্রিয় বিষয় জয়লক্ষ্মীর।

ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের মতো হবে সে।

অভাব–অনটন, বাধা–বিঘ্ন থাকলেও নিজের স্বপ্নে একটুও চিড় ধরেনি জয়লক্ষ্মীর। বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। ইচ্ছা হলে টাকা পাঠান, না-হলে পাঠান না। তাই সংসারের ভার তার ওপরেই।

বড় হয়ে বিজ্ঞান নিয়েই পড়াশোনা করবে বলে কোচিং ক্লাস নিয়ে একটু আধটু ইংরেজিও শিখে নিয়েছে জয়লক্ষ্মী।

একেবারেই নিজের চেষ্টাতেই নাসায় গিয়ে মহাকাশচারীদের সঙ্গে দেখা করতে চলেছে সে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের মে মাসে নাসায় যাচ্ছে সে। কিভাবে এল এই সুযোগ?

জয়ালক্ষ্মী জানায়, একদিন হঠাৎ করেই কাগজের একটা খবরে চোখ আটকে যায়। একটি সংস্থা নাসা যাওয়ার জন্য সব শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিতে একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। খবরটা দেখেই আর বসে থাকতে পারিনি আমি। সব কাজ ফেলে দৌড়ে বাড়ি গিয়ে প্রতিযোগিতার জন্য ফর্ম ফিলআপ করি। নিজের মতো করে বাড়িতেই প্রস্তুতি নিতে থাকি। আর সেই পরীক্ষায় সফলও হই।

তাতেও অবশ্য সব সমস্যার সমাধান হয়নি। সমস্যা এবার অন্য জায়গায়। নাসায় ঢোকার টিকিট তো পেয়ে গেছে, কিন্তু যাতায়াত খরচ! সেও তো অনেক টাকা।

কয়েকজন শিক্ষক আর তার সহপাঠীরা মিলে পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়েছে তার। পাসপোর্ট অফিসারও তাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন।

কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয়। জেলা প্রশাসকের কাছেও আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে সে।

বিজ্ঞান প্রেমী এই মেয়েকে নিয়ে প্রশংসার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কী করে পেল সে এই সুযোগ? এই প্রশ্নই ঘনীভূত হয়েছে।

সূত্র: আজকাল

পাঠকের মতামত

Comments are closed.