261630

অবৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারছে না

ডেস্ক রিপোর্ট : অবৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যের শিকার অনেক এসএসসি পরীক্ষার্থী। বোর্ডের দয়ায় কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারলেও অনেকেই বসতে পারছে না পরীক্ষায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি-নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলো পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ করিয়ে দেয়ার নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। বোর্ড জানিয়েছে, আইনের আওতায় আনা হবে অভিযুক্তদের।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কার্যালয়ে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা এসেছে সাভার, ধামরাই, গাজীপুরসহ অন্যান্য এলাকা থেকে। এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রবেশপত্র না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বোর্ডের শরণাপন্ন হয় তারা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, সারাদিন এখানে আছি। পড়ার কোনো সুযোগই পাইনি। আমাদের স্কুল থেকে আমরা ১১ জন এসেছি। যথাসম্ভব আমাদের শিক্ষক টাকা মেরে দিয়েছেন।

এখানে এসে জানতে পারে যে বিদ্যালয়ে তারা পড়াশোনা করছে সেগুলো অবৈধ। নিবন্ধনের দায়িত্ব নেয়া বিদ্যালয়টিও শেষ মুহূর্তে প্রবেশপত্র সরবরাহ করতে পারেনি। সে কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়া অনিশ্চিত।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, সারাদেশে এমন অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যারা কেবল কোচিং ও কিন্ডাগার্ডেনের জন্য মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীও ভর্তি করে। ভুক্তভোগীদের দাবি, বাছাই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও পরীক্ষায় অংশ নেয়ার প্রলোভন দেখায় প্রতিষ্ঠানগুলো।

তারা বলে, আমাদের কাছে যা যা চেয়েছে সবই দিয়েছি। তবুও কিছু হয়নি।

প্রতিবছরই পরীক্ষার আগ মুহূর্তে প্রবেশপত্র না পাওয়া, নিবন্ধন জটিলতাসহ নানা সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এর বড় একটি অংশ অবৈধ পরীক্ষার্থী বলে জানায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের প্রফেসর মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, এরা সবাই অবৈধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছে। মানবিক কারণে তাদের ফর্ম পূরণ করতে দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিদ্যালয়ে ভর্তির আগে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। সূত্র : সময় টিভি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.