262665

মাত্রাতিরিক্ত পারদ রয়েছে পাকিস্তানি রং ফর্সাকারী ক্রিমে!

ডেস্ক রিপোর্ট : পাকিস্তানি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সাকারী ১৩টি ক্রিমের মধ্যে ছয়টিতেই বিপজ্জনকমাত্রায় মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ (মার্কারি) এবং দুটি ব্র্যান্ডের ক্রিমে পারদ ও হাইড্রোকুইনোন পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এজন্য আটটি ক্রিম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি।

বিএসটিআই’র নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিম বাজার থেকে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয় করে পরীক্ষা চালায় তাদের নিজস্ব ল্যাবে। গতকাল পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। সে থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরীক্ষায় দেখা যায়, পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের গৌরী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ৭৫৫ দশমিক ৮৫ পিপিএম। এছাড়া দেশটির এসজে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে এ মাত্রা ৬২৯ দশমিক ৯৬ পিপিএম; কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে ৫৯০ দশমিক ৩৮ পিপিএম ও ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের ডিউ ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ২৮৫ দশমিক ৮৮ পিপিএম।

এছাড়া পাকিস্তানের গোল্ডেন পার্ল কসমেটিকস প্রাইভেট লিমিটেডের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ৬৫৪ দশমিক ১৩ পিপিএম; পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে এ মাত্রা ৫৯০ দশমিক ৪৫ পিপিএম; নূর গোল্ড কসমেটিকসের নূর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ১৯৩ দশমিক ৬৮ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা এক হাজার ৯৮০ দশমিক ৬৮ পিপিএম এবং হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ৯৪৮ দশমিক ৯৩ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৪ দশমিক ৭৩ পিপিএমের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, স্কিন ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মানে (বিডিএস ১৩৮২: ২০১৯) পারদের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম। মাত্রাতিরিক্ত পারদ ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি-বিতরণ বন্ধ করার জন্য প্রতিবেদনে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যথায় আমদানিকারক/সরবরাহকারী/বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন এসব স্কিন ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য ক্রেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে। বিএসটিআই’র লোগো, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা দেখে ভোক্তাদের পণ্য ক্রয়ের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.