178236

শনির চাঁদে প্রাণ!

জামাল হোসেন: মানুষ গ্রাম থেকে শহরে এক দেশ থেকে অন্য দেশে বসবাসের জন্য পাড়ি জমাত, এখন মানুষ গ্রহের খোঁজে বের হয়েছে নতুন প্রাণের অস্তিত্ব জানতে। সম্প্রতি সেই অনুসন্ধানের হালে পানি পড়লো যেন। সম্প্রতি জানা গেল শনির চাঁদ এনসেলাডাসে আছে প্রাণের উপস্থিতি।

নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনির পাঠানো তথ্যে বিজ্ঞানীরা জানতে পারল যে শনির বরফে ঢাকা চাঁদটিতে আছে প্রাণ। এই এনসেলাডাস পুরোপুরিই বরফে ঢাকা। ক্যাসিনি অনেক দিন ধরেই এনসেলাডাসের বরফের ফাটল থেকে উঠে আসা গোলাপি পানির ধারা পর্যবেক্ষণ করে আসছিল। পানিগুলো পর্যবেক্ষণ করে পাওয়া গেল এতে ৯৮ ভাগ পানি এবং বাকি ২ ভাগ অন্যান্য উপাদান যেমন হাইড্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন রয়েছে। যাতে জীবনের উপস্থিতির সকল উপাদানই আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ওয়েস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের হান্টার ওয়েট ওই পানির ধারাটি পর্যবেক্ষণের নেতৃত্বে আছেন। তিনি বলেন, “এই আণবিক হাইড্রোজেন দেখতে অনেকটা কেকের উপর বরফের হালকা আবরণের মতো”।

নাসার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আপনারা এমন কিছু রাসায়নিক শক্তির উৎস দেখতে পাচ্ছেন যা অণুজীবরাই ব্যবহার করতে পারে। যে জিনিস আমরা এখনো দেখতে পাইনি তাহলো ফসফরাস এবং সালফার। সম্ভবত এই উপাদানগুলো খুবই অল্প পরিমাণে আছে। এজন্য ওখানে আমাদের আবার যেতে হবে, ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য।

সকল তথ্য উপাত্ত যাচাইয়ের পর নাসা বিশ্বাস করে যে এনসেলাডাসের সাগরতলে ব্যাকটেরিয়া থাকা সম্ভব।

নাসার বিজ্ঞানী লিন্ডার মতে, আমরা প্রাণির প্রমাণ পাইনি। তবে শনির চাঁদে জীবনের সমর্থন করার জন্য সকল উপাদান বিদ্যমান আছে যেমন আছে পৃথিবীতে। শনির চাঁদ কিছুতা ছোট হলেও তা পৃথিবীর চাঁদের চেয়ে ১৫ গুণ বড়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু কোটস বললেন, “আমাদের সোলার সিস্টেমের মধ্যে দূরের এই চাঁদ মঙ্গল ও ইউরোপার মতো জীবনধারণের উপযোগী স্থান হবে”।

নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনি ১৯৯৭ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটি ২০০৪ সালে শনি গ্রহে পৌঁছায় এবং সাফল্যের সাথে যাত্রার ২০ বছর পূর্ণ করে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.