182467

কুকুরের আয়েশি জীবন

মোহাম্মদ সায়েম: ফারিয়ানো লর্দেস ও ড্যানিয়েলা লর্দেস। দুজন ভাইবোন। পেশায় ব্যবসায়ী। নানা রকম ব্যবসার কাজে ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশে। বেশ কিছুদিন আগের কথা। নতুন কোনো ব্যবসা চালু করা যায় কিনা এই ব্যাপারে বাড়িতে আলোচনায় বসলেন ভাইবোন। তাঁদের পায়ের কাছে খেলা করছিল পোষা কুকুরগুলো। ওদের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করেই ড্যানিয়েলের মাথায় একটি আইডিয়া এলো। ফাবিয়ানোর সেটা মনে ধরে গেল। কয়েক দিনের মধ্যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজে নেমে পড়লেন দুই পাকা ব্যবসায়ী। খোঁজ নিয়ে জানলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি কুকুর আছে তাঁদের দেশ ব্রাজিলেই। অন্যসব কুকুরপ্রেমীর মতোই ড্যানিয়েল বিদেশে ঘুরতে গেলে নিজের পোষা প্রাণীুটকে নিয়ে টেনশনে থাকেন। কোথায় রাখা হয়েছে, কি করছে, যত্ন-আত্তি ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা জানার জন্য তাকে বারবার বাড়িতে ফোন করতে হয়। চাকরবাকরকে নির্দেশ নিতে হয়। কুকুরের মালিকদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই একটি হোটেল চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো্। আটতলা এই হোটেলে কুকুরগুলো জামাই আদরে থাকবে। পুরো হোটেলেই কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি রুমের দেয়াল উজ্জ্বল রঙে রাঙানো। নরম বিছানায় শুয়ে যখন বালিশে মাথা রাখবে প্রাণীগুলো, মৃদু সুরে সংগীত বাজবে। মন চাইলে ওরা সুবিশাল রুমে ছোটাছুটি করবে। হোটেলে আছে বিশাল আছে একটি ফিটসেম সেন্টার। কুকুরদের ব্যায়াম করানোর জন্য নবসময় প্রস্তুত প্রশিক্ষিত ট্রেনার। ওদের সাঁতার কাটার জন্য আছে সুইমিংপুল। থাবা, মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আছে পশুচিকিৎসক। রয়েছে বডি ম্যাসেজের সুবিধাও। বিশাল একটি ইনডোর গেমস রুমে সারাদিন ছোটাছুটি করতে পারবে কুকুরগুলো। ধুমধামের সঙ্গে কুকুরের জন্মদিন পালনের জন্য রয়েছে পার্টি প্লেস। হোটেলে পাওয়া যাবে কুকুরের আনুষঙ্গিক অনেক কিছু। কেনা যাবে গলার বেল্ট, রংদার জামাকাপড়। হোটেলটি আছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চালীয় শহর বেলো হরিজন্তেতে। ‘লাভ হোটেল’ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। কর্মরত আছেন ৬০ জন স্টাফ। এই হোটেলে প্রতিটি কুকুর রাখার জন্য দিনপ্রতি ফি দিতে হবে চার হাজার টাকা। যেটা আয়েশি জীবন ছাড়া আর কিছু নয়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.