183072

দরুদ পড়লে কি সুদের গুণা মাফ হয়?

জামাল হোসেন: একটি ঘটনা এমন যে এক ব্যক্তি সুদ খেত। সেই ব্যক্তি ও তাঁর পুত্র একসাথে সুফলে যাচ্ছিলেন পথি মধ্যে পিতার মৃত্যু হয়ে যায়। যে কোন ব্যক্তির মৃত্যু তার পরিবারের জন্য একটি বিপদ। মৃত ব্যক্তিটি যদি কাছের কেও হয় বিশেষ করে যদি তার পিতা হয় তবে তো তাদের কষ্ট ভাষায় বুঝানোর মতো নয়। এই পিতা মারা যাওয়ার পর তার চেহারা খারাপ হয়ে গেছে বদসুরত হয়ে গেছে। ছেলে কিছুদিন পর পার বাবা কে সপ্নে দেখছে। সপ্নে কোন এক ব্যক্তি ছেলে কে বলছে যে সুদ খয়ার কারণে তোমার পিতার চেহারা বদসুরত হয়ে গেছিলো কিন্তু রাসুল (সঃ) তাঁর জন্য সুপারিশ করেছেন। কেননা সে সব সময় রাসুল (সঃ) এর নাম শুনলেই দরুদ পাঠ করতো। এতে আল্লাহ্‌ তাঁর সুরত ভালো করে দিয়েছেন। এসব অবাস্তব ও অলৌকিক ঘটনা কি আপনাদের বিশ্বাস হয়?

এখানে বলা হয় যে সুদ খাওয়ার কারণে তার চেহারা শুকরের মতো হয়ে গেছে। এই ঘটনা যদি ঘোটে থাকে তবে তার চেহারা তো আর ঠিক হওয়ার কথা নয়। চেহারা একবার নষ্ট হলে তা আর ঠিক হওয়ার নয়। সুদ খাওয়া সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন, “ হে ইমানদার লোকেরা, তোমরা (সুদের ব্যাপারে) আল্লাহ্‌কে ভয় করো, আগের (সুদী কারবারের) যে সব বকেয়া আছে তোমরা তা ছেড়ে দাও। যদি তোমরা সত্যি আল্লাহ্‌র উপর ঈমান এনে থাক। যদি তোমরা এমনটি না করো (সুদের কারবার ছেড়ে না দাও) তবে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য তোমরা তৈরি হয়ে নাও”। (সূরা বাকারা: আয়াত – ২৭৮,২৭৯)

এই আয়াতে সুদখোরের বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌ যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। অথচ আলোচ্য ঘটনায় রাসুল (সঃ) তাঁর পক্ষ অবলম্বন করে সুপারিশ করবেন এমনটি বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.