185545

ভুল ধারণা: এশার অযু দিয়ে ফজরের সালাত পড়া

জান্নাতুল ফেরদৌস: কথিত আছে, সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব (রহঃ) পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত এশা ও ফজরের সালাত একই অযু দ্বারা পড়েছেন।
আবুল মোতামের চল্লিশ বছর যাবত একই অযু দ্বারা এশা ও ফজরের নামাজ পড়েছেন।

ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) আবু তালেব মক্কী হতে বর্ণনা করেন যে, চল্লিশ জন তাবেয়ীন এশার অযু দ্বারা ফজর পড়েছেন।

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি নাকি ত্রিশ অথবা চল্লিশ অথবা পঞ্চাশ বৎসর যাবত এশার অযু দ্বারা ফজর পড়েছেন।

ঘটনাবলীতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে নিঃসন্দেহে তারা মুসলিম বিশ্বের বরেণ্য ব্যক্তি। আমরা সবাই তাদেরকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কিন্তু একটি কথা মনে রাখতে হবে তাহল তারা কিন্তু নবী ও সাহাবীগণের সমতুল্য তো দূরের কথা কাছাকাছিও না। তদুপরি সাহাবীগণের আমলের মধ্যেও কিন্তু এ ধরনের ব্যতিক্রম কোন কিছু আমরা লক্ষ্য করি না, যা আলোচ্য মনিষীগণের ব্যাপারে বলা হচ্ছে। আল্লাহ্‌ তায়ালা তাঁর রাসূল (সাঃ) কে রাত্রের কিছু অংশ বাদ দিয়ে ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন- “রাতে (নামাযের জন্য) উঠে দাঁড়াও, কিছু অংশ বাদ দিয়ে। তার অর্ধেক (পরিমাণ) অংশ (নামজের জন্য দাঁড়াও। অথবা এ পরিমাণ কিংবা তার চাইতে আরো কিছু কম”। (সূরা মুযযাম্মেলঃ আয়াত-২,৩)

রাসূল (সাঃ) আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বলেন- “তুমি সিয়াম পালন কর। আবার সিয়াম ছেড়ে দাও, তুমি রাত্রে ইবাদত কর আবার ঘুমাও। কারণ তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে, তোমার উপর তোমার চোখের হক আছে, অনুরূপ তোমার উপরে তোমার স্ত্রীর হক আছে”। (বুখারী, কিতাবুন্নিকাহ, হা. ৫১৯৯, মুসলিম-১১৫৯)
আলোচ্য মনিষীগণ কি সূরা মুযযাম্মেলের ২ এবং ৩ নং আয়াত ও উপরিউক্ত হাদিসটি জানতেন না?

জেনে শুনে কারো পক্ষে এরূপ করার কথা নয়। আর যদি কেউ অতিরঞ্জিত বা নতুন কিছু প্রবর্তন করে তাহলে তা রাসূলের ভাষায় প্রত্যাখ্যাত”। (মুসলিম, হা. ১৭১৮)
তাই এসব কথা আদৌ ঠিক কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.