192281

মুছে ফেলা যাবে স্মৃতি!

ডেস্ক রিপোর্ট :কারো মস্তিষ্ক থেকে বেদনাদায়ক স্মৃতি মুছে ফেলা বা স্মৃতিতে সোনালী দিনের ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে। এটাকে অনেকটা হলিউড অভিনেতা আর্নল্ড শ্যোয়ার্জেনেগারের ক্লাসিক ফিল্ম ‘টোটাল রিকল’ এর নায়কের মতো কৃত্রিম স্মৃতি নিয়ে সৌরজগতে ঘুরে বেড়ানোর মতোই রোমাঞ্চকর বলা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এমঅাইটি’র একদল বিজ্ঞানী এ সংক্রান্ত এক গবেষণা করেছেন। ‘সেল’ নামে একটি জার্নালে সম্প্রতি গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণার ফলাফল বলছে, ‘ঈশ্বর-প্রদত্ত স্মৃতিশক্তি’ বলে কিছু নেই। কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কে যেমন নতুন তথ্য দিয়ে পুরনো তথ্যকে ‘রিপ্লেস’ বা ‘ওভার-রাইট’ করা যায়, তেমনিভাবে মানুষের স্মৃতিশক্তিকেও কৃত্রিমভাবে, ইচ্ছেমতো ‘ডিলিট’ করা যেতে পারে।

আমাদের মগজ নিজে থেকেই এই কাজটা করে। যেমন ই-মেলের ‘ইউসেজ স্পেস’ নির্দিষ্ট গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধরে রাখতে পারে, আমাদের মগজও তেমনই। সীমা ছাড়ালেই আমরা ‘রিফিউজড হই, ই-মেলের ক্ষেত্রেও তাই হয়। সে ক্ষেত্রে কোন মেইল রাখব, আর কোনটা রাখব না, সেই বাছাই-বাতিলের কাজটা আমাদের করতে হয়। স্মৃতির ক্ষেত্রে ওই কাজটা করে আমাদের মগজ। এ বার কৃত্রিমভাবে আমাদের পক্ষে সেটাও করা সম্ভব হতে পারে বলে গবেষকদের মত।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির স্নায়ুবিজ্ঞানের গবেষক লি হুয়েই সাইয়ের গবেষণাপত্রটি ‘Cell’ জার্নালে প্রকাশিত হয়। এর আগে গত জুনে ‘Nature-Neuroscience’ জার্নালে বেরিয়েছে নেদারল্যান্ডসের রাবাউন্ড ইউনিভার্সিটি নিমেজেনের জিনতাত্ত্বিক মার্টিন ক্রোয়েশের গবেষণাপত্রটি। আর সম্প্রতি ‘জেনোম’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোর স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জিনতত্ত্ববিদ কোর্টনি মিলারের গবেষণাপত্রটি। এই তিনটি গবেষণাতেই মানুষের স্মৃতির উপর করা হয়েছে যেখানে স্মৃতি ধরে রাখা বা অবাঞ্ছিত স্মৃতি মুছে ফেলার ওপর ফোকাস করা হয়েছে।সূত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.