195391

বর্ষার জুতো কিনছেন? রইল মূল্যবান কিছু টিপস

ডেস্ক রিপোর্ট  : নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা আর হাঁটতে না জানলে জুতো! আর বর্ষা এলে এই জুতোই যে সবচেয়ে ভাবনার কারণ হয়ে ওঠে তা আর নতুন কী!

তবে বর্ষায় জুতো কেনার আগে যদি মনে রাখেন বিশেষ কিছু পরামর্শ, তা হলে এই বর্ষায় নিস্তার পেতে পারেন পায়ে ফোস্কা বা যে কোনও রকম সংক্রমণ থেকে। টেকসই হবে জুতোও।

সারা বছরের জুতো কেনা আর বর্ষার জুতো বাছাইয়ে কিন্তু খানিক ফারাক আছে।

ঝড়-জলে যুঝতে পারবে এমন জুতো বাছার পাশাপাশি বর্ষার জুতোর যত্নও কিন্তু হবে আলাদা। ভেঙে ফেলতে হবে কিছু পুরনো ধারণা।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ীর মতে:  বর্ষায় মোজা পরুন। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। এ সময় পায়ে বৃষ্টির জল তো লাগেই বরং দীর্ঘক্ষণ সে জল থেকে যায় পায়ে। বৃষ্টির জল, রাস্তার কাদায় থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া সংক্রণণ ঘটাতেই পারে। অতএব, মোজা ছাড়া জুতো একেবারে নয়। কিন্তু মোজা তো ভিজবে। তা হলে উপায়?

চিকিৎসকের মতে, ভিজুক। সঙ্গে রাখুন শুকনো মোজাও। গন্তব্যে পৌঁছে ছেড়ে ফেলুন ভিজে মোজা। ফের বেরনোর সময় পরুন সঙ্গে রাখা শুকনোটি। পারলে মোজা শুকনোর উপায় থাকলে তার সদ্ব্যবহার করুন। এ ছাড়া সংক্রমণ এড়ানোর সহজ কোনও উপায় নেই কিন্তু।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, বর্ষায় জুতো কেনার সময় কিন্তু আরও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে:

এড়িয়ে চলুন পলিথিনের জুতো। চামড়ায় অ্যালার্জি বা প্রদাহ তৈরি করে পলিথিন। তাই বর্ষার জুতো মানেই পলিফাইবার বা পলিথিনের জুতো পরার অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।
রেক্সিন বা ভাল ভাবে প্রক্রিয়াজাত না হওয়া চামড়া থেকে তৈরি কম দামি জুতো কিনবেন না।
সিন্থেটিক চামড়া এড়িয়ে জুতোর র‌্যাকে রাখুন ওয়াটারপ্রুফ দামি চামড়ার জুতো। আজকাল নাম করা জুতো প্রস্তুতকারী সংস্থায় সহজেই মেলে এমন জুতো। দাম একটু বেশি হলেও চেষ্টা করুন এমন জুতোই কিনতে।
গাঢ় রঙে অনেকের অ্যালার্জি হয়। কারণ গাঢ় রঙের রাসায়নিক উপাদান চামড়ায় সহ্য হয় না অনেকের। তেমন হলে এড়িয়ে চলুন সে সব রং।
কিন্তু যিনি কিনতে পারবেন না এমন জুতো?

সমাধান আছে তাঁদের জন্যও। কম দামি জুতো কিনলে তেল বা ক্রিমে চুবিয়ে রাখুন তা এক রাত। জুতো পরার আগে পায়েও মেখে নিন তেল। তার পর জলে ধুয়ে নরম কপড়ে পা মুছে পড়ুন জুতো। ফোস্কার সম্ভাবনা কমবে। তেল থাকায় জলও বসে থাকবে না বেশিক্ষণ।
তবে মোজা পরতে হবে এক্ষেত্রেও। এতেই আরামে থাকবে আপনার পা। কমবে সংক্রমণের সম্ভাবনাও। আনন্দবাজার

পাঠকের মতামত

Comments are closed.