195778

‘ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় ব্লেড দিয়ে শাশুড়ির গলা কেটেছি

‘প্রায় দেড় বছর ধরে শাশুড়ি অসুস্থ ছিলেন। তিনি বিছানায় প্রসাব-পায়খানা করতেন। কারণে-অকারণে তিনি শুধু ডাকাডাকি করতেন। এতে ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটত। এ কারণে ঘরে থাকা নখ কাটার ব্লেড দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় শাশুড়ি নূরজাহানকে কয়েক দফায় পোজ মেরে গলা কেটে হত্যা করেছি।’

রোববার নিহতের পুত্রবধূ রোজিনা বেগম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানান।

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিতে গত শনিবার ৭০ বছরের অসুস্থ বৃদ্ধা নূরজাহান বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন নূরজাহানের পুত্রবধূ রোজিনা বেগম (৪০)।

অসুস্থ শাশুড়ির ব্যবহারে ক্ষিপ্ত হয়ে নখ কাটার ব্লেড দিয়ে কয়েক দফায় গলা কেটে হত্যার করার কথা স্বীকার করেন তিনি। এমন জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত রোজিনা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জবানবন্দিতে ঘাতক পুত্রবধূ রোজিনা বলেন, কারণে-অকারণে শাশুড়ি শুধু ডাকাডাকি করতেন। এতে ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটত। কখনও আবার ঠিকমতো দেখাশোনা না করলে ছেলের কাছে অভিযোগ করতেন। ফলে তার স্বামীও মাঝেমধ্যে তাকে গালাগাল করাসহ মারপিট করতেন। এসব কারণে শাশুড়ি নূরজাহান বেগমের ওপর ক্ষিপ্ত মনোভাব তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, গত শনিবার গভীর রাতে তার শাশুড়ি নূরজাহান বেগম কয়েকবার তাকে ডাকাডাকি করলে এতে রোজিনার ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার স্বামী বারেক শেখ ও দুই ছেলে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ক্ষেতে ফুলকপি তুলতে যায়। এ সুযোগে তিনি ঘরে থাকা নখ কাটার ব্লেড দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় শাশুড়ি নূরজাহানকে কয়েক দফায় পোজ মেরে গলা কেটে হত্যা করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে বারেক শেখ (রোজিনার স্বামী) অজ্ঞাত আসামি করে বালিয়াকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর নিহতের ছেলে বারেক শেখ, তার স্ত্রী রোজিনা বেগম ও বড় ছেলে তৌহিদুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বালিয়াকান্দি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদের পর বারেক শেখ ও তার ছেলেকে ছেড়ে দেয়া হলেও ঘাতক পুত্রবধূ রোজিনাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়। পরে রোববার বিকালে নিহতের পুত্রবধূ রোজিনা বেগম ও তার শিশুকন্যা পরশিয়াকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

উৎসঃ jugantor

পাঠকের মতামত

Comments are closed.