197370

জীবনের ওঠাপড়া নিয়ে এগোচ্ছে মহুল-শবনম-শ্যামারা

ডেস্ক রিপোর্ট : কলেজ সূত্রেই শবনমের সঙ্গে যশোজিৎ-এর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে যশোজিৎ-এর হবু স্ত্রী রোহিনী কিছুতেই তা ভালো মনে নিতে পারে না। অনেক ঝামেলার পর যশোজিৎ আর রোহিনীর আইনি বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু সেদিনের অনুষ্ঠানে শবনমকে খুব খারাপ ভাবে অপমান করে রোহিনী।

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের মন বড়ই বিচিত্র। প্রতিনিয়ত নানা উপাচারে ভিন্নস্বাদের রান্না চলে সেখানে। কখনও তা উপাদেয়, শরীর স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো, কখনও আবার তাতে মিশছে হিংসা। এভাবেই এগিয়ে চলে জীবনের গল্প। সেই জীবন সংগ্রামের গল্পই প্রতিফলিত হয় পর্দায়। কৃষ্ণকলির শ্য়ামা চরিত্রের কথাই ধরা যাক। বহু পরীক্ষা, বাধা অতিক্রম করে তাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। তার চলার ছন্দ বানচাল করতে ওত পেতে থাকে দিশা। দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা বাধানোর চেষ্টাও করে সে। কিন্তু শ্যামা কথা দিয়েছিল যে কোনও উপায়ে পরিবারকে সে রক্ষা করবেই। সেই কথা শ্যামা রাখে। অশোক ও নিখিলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায়। এবং শ্যামা আবার নতুন করে পড়াশুনো শুরু করে। এরকম ভাবেই কি এগিয়ে যাবে শ্যামার জীবন?

কলেজ সূত্রেই শবনমের সঙ্গে যশোজিৎ-এর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে যশোজিৎ-এর হবু স্ত্রী রোহিনী কিছুতেই তা ভালো মনে নিতে পারে না। অনেক ঝামেলার পর যশোজিৎ আর রোহিনীর আইনি বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু সেদিনের অনুষ্ঠানে শবনমকে খুব খারাপ ভাবে অপমান করে রোহিনী। অন্যদিকে এক বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে শবনমের বিয়েটা পাকা করে ফেলে তার বাবা। তার কথায় কোনওরকম কান না দিয়ে তাকে জোর করে বিয়ের মন্ডপে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় পালিয়ে যায় শবনম। রাস্তায় হঠাৎ দেখা হয়ে যায় যশোজিতের সঙ্গে। শবনমকে বাঁচাতে যশোজিৎ নিজের হাত কেটে রক্ত দিয়ে সিঁদুর পরায়। এই পুরো ঘটনাটি ঘটে শবনমের বাবার সামনেও। ফলে শেষপর্যন্ত বাড়ি ছাড়তে হয় তাকে। এদিকে রোহিনী আর যশোজিতের মাও তাকে চৌধুরি বাড়িতে থাকতে দিতে অস্বীকার করে। কোথায় যাবে শবনম? এই পরিস্থিতিতে তাকে কি রক্ষা করতে পারবে যশোজিৎ?

ক্রমশ সুস্থের মুখে রোদ্দুর। হাসপাতাল থেকে দু একদিনের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। মৃণালিনীর সঙ্গে তার বহুবছর বাদে এখানে দেখা হয়। এখানেই রোদ্দুর প্রথম জানতে পারে যে এককালে মৃণালিনী তাকে পছন্দ করত। অসুস্থ অবস্থায় মৃণালিনীকে সে অনুরোধও করে তাকেও সঙ্গে করে বিদেশ নিয়ে যেতে। কিন্তু এই কয়েকদিনের মধ্যে মহুলের সঙ্গে বিশেষ কথা বলেনি রোদ্দুর। কিন্তু মহুল বুঝতে পারে রোদ্দুর তার অতীতকে মানতে নারাজ। রোদ্দুর জানতে পারে আর কয়েকদিনের মধ্যেই বিদেশে ফিরছে মৃণালিনী। অনুরূপেরও বিয়ে ঠিক হয়। মহুলের পক্ষে কি সম্ভব এই সব পরিবর্তন একসঙ্গে মেনে নেওয়া? নাকি আবার নতুন কোনও ঝড় আসতে চলেছে তার জীবনে?

পাঠকের মতামত

Comments are closed.