231480

বড় ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে এবার ঈদে

ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদের পর যে কোনো সময় জঙ্গি হামলার আশংকা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছোট আকারে থেমে থেমে বিভিন্ন স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। নব্য জেএমবি’র একটি মডিউল (৮-১০ সদস্য) বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে। আবার নব্য জেএমবি ছাড়াও আনসার আল ইসলামের একটি তরুণ গ্রুপ ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালানোর জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই দুইটি জঙ্গি সংগঠনের হাতে বিপুল সংখ্যক আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লসিভ ডিভাইস) এসেছে। এরাই গুলিস্তান ও মালিবাগে পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে। পুলিশ স্থাপনায় পুলিশের পোশাক পরে প্রবেশ করতে পারে হামলাকারীরা। এই আশংকায় পুলিশের সকল স্থাপনায় প্রবেশের সময় কঠোরভাবে পরিচয় যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি টহল পুলিশের গাড়ি কোনো অবস্থায় ফাঁকা না রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নূন্যতম হলেও চালক ও একজন পুলিশ সদস্য টহল গাড়ি মনিটরিং করবে।

হামলাকারীদের ধরন :হামলার আশংকা থেকেই বিষয়টি দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ জন্য সম্ভাব্য হামলাকারীদের ধরন সম্পর্কেও একটি ধারণা পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। সম্ভাব্য হামলাকারীদের বয়স হতে পারে ২০ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ক্লিন সেভড অথবা দাড়ি বা গোফহীন হতে পারে এরা। পরণে থাকতে পারে -প্যান্ট, শার্ট বা টি শার্ট ও কেডস। হামলাকারীদের পিঠে ঝুলানো ব্যাগ থাকতে পারে। কখনো কখনো ট্রলি ব্যাগও বহন করতে পারে।

হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু ও সময়: পুলিশ (ব্যক্তি, স্থাপনা ও গাড়ি), বিদেশি স্থাপনা, মন্দির, গির্জা, শিয়া ও আহমদিয়া মসজিদ এবং পীর ও মাজার কেন্দি ক ঈদ জামাত হামলাকীরদের প্রধান লক্ষ্য বস্তু। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর্যটকঘন এলাকাসমূহ বা আবাসিক হোটেলও তাদের লক্ষ্য বস্তু হতে পারে। এসব এলাকায় বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা না নিয়ে আতংক সৃষ্টির জন্য বা নিজেদের অবস্থান বা শক্তি জানাতে ছোট ধরনের হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে। নিরাপদ ভেবে ভোর ৬ টা থেকে সকাল ৮ টার মধ্যে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিতে পারে। লক্ষ্যবস্তু’র আশেপাশে জনাকীর্ণ এলাকা হলে, সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টার মধ্যে হামলা বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা নিতে পারে।

দেশি ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এসব তথ্য পেয়ে পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি করার নির্দেশ পুলিশের সকল ইউনিটের প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইউনিটগুলোতে ১৩ টি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। প্রথম নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সচেতনতা ও নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনে পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। পরবর্তী যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো কার্যকর চেকপোস্ট নিশ্চিত করা, ব্যাকপ্যাক কিংবা ট্রলি ব্যাগ যথাযথভাবে তল্লাশি করা, ঈদ শপিং করেছে ধারনা দেওয়ার জন্য বড় শপিং ব্যাগও বহন করতে পারে বলে তাও তল্লাশির আওতায় আনতে হবে, পুলিশ স্থাপনায় পুলিশের পোশাক পরে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে তাই এই পোশাকে থাকলেও পরিচিতি নিশ্চিত করা, পুলিশের গাড়ি কোনোভাবেই পরিত্যক্ত না রাখা ও পুলিশ স্থাপনা কিংবা গাড়ির আশেপাশে অবাঞ্ছিত লোকের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করতে হবে। এছাড়া বিদেশি স্থাপনা ও ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা জোরদার করা, উপাসনালয় বিশেষ করে প্রার্থনার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ব্লক রেইড দিতে হবে। সূত্র : ইত্তেফাক

পাঠকের মতামত

Comments are closed.