236255

নাসার যন্ত্রের মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা হলো ভিনগ্রহীদের!

ডেস্ক রিপোর্ট : মঙ্গলগ্রহের মাটিতে রোভার নামিয়ে সুলুকসন্ধান চালানোর শুরু ২০১২ সাল থেকে। লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে কল্পকাহিনীর শেষও সেই বছরেই। এ পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহের মাটি জরিপ করতে যে কটি রোভার নাসার তরফ থেকে নামানো হয়েছে, তাদের প্রত্যেকটিই এমন অপূর্ব সব ছবি ও তথ্য পাঠিয়ে চলেছে যে তার থেকে বিজ্ঞানীরা সৌরজগতে পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী গ্রহের ভূতাত্ত্বিক গঠন সম্পর্কে অনেকটাই স্পষ্ট ধারণা করতে পারছেন। কিন্তু স্পষ্টতার মধ্যেও যেকিছু অস্পষ্টতা থাকে, সেটা আবার প্রমাণিত হল মঙ্গলগ্রহে বর্তমানে ঘুরে বেড়ানো ‘কিউরিসিটি’ রোভারের পাঠানো ছবি থেকে।

‘কিউরিসিটি’ রোভারের পাঠানো একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে- চাকতি আকারের এক সাদা গোলাকার বস্তু মঙ্গলগ্রহের মাটির ওপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নাসা এখন পর্যন্ত সম্ভাবনার কথা বললেও নিশ্চিত করে এই বস্তুটি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘কিউরিসিটি’ রোভার এর আগেও এই একই বস্তুর ছবি একাধিকবার পাঠিয়েছে। যারা ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিঃসন্দিগ্ধ, তারা এই ছবি দেখে স্বভাবতই যারপরনাই উল্লসিত হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে যে সংশয়বাদীরা চাঁদে মানুষ নামা থেকে শুরু করে নাসার সব কার্যকলাপকেই একটি বৃহৎ চক্রান্তের অংশ হিসেবে মনে করেন, তারা এই ছবিটিকে ভুয়া এবং চক্রান্ত বলেই ঘোষণা করে দিয়েছেন।

ভিনগ্রহীদের বিষয়ে স্বঘোষিত গবেষক স্কট সি ওয়ারিং যদিও নিশ্চিত যে ওই গোলাকার চাকতিটি কোনো আলোর ভ্রম নয়, ওটি ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান। সম্প্রতি নাসার রোভারের পাঠানো অধিকাংশ ফোটোতেই ওই বস্তুটিকে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়ে ওয়ারিং বলেছেন, ইউএফও’টি ঙ্গলগ্রহের রোভারটির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে, এমন আদিকালের যন্ত্রটিকে বোঝার চেষ্টা করছে। আমি আশ্চর্য হব না যদি ইতিমধ্যে ইউএফও’টি রোভারকে স্পর্শ করে থাকে। এর আগেও আমি মঙ্গলগ্রহে অনেক সাদা আলোর ঝলকানি দেখেছি; কিন্তু এমন চাকতির মতো বস্তু ঘুরে বেড়াতে দেখিনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি আরও গবেষণা করতে চান বলে জানিয়েছেন তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে।

নাসার মুখপাত্র এই বিষয়ে বলেছেন, একটি সম্ভাবনা হল কোনো পাথরের গায়ে সূর্যের প্রতিফলনের ফলে এমন আলো দেখা যাচ্ছে। দিনের যে সময় এই ছবিটি তোলা হচ্ছে, সেই সময় সূর্যের অবস্থান থাকছে রোভারের উত্তর-পশ্চিমে এবং অপেক্ষাকৃত আকাশের নিচুতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, আকাশে সূর্যের বিভিন্ন অবস্থানে এই একই ধরনের প্রতিফলন অতীতে একাধিকবার দেখা গেছে। ইউকে এক্সপ্রেস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.