253945

আজ বিশ্ব ‘হার্ট দিবস’

ডেস্ক রিপোর্ট : হার্ট বাঁচার জন্য মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । হার্টের অন্যতম রোগ ‘হৃদরোগে’ বিশ্বে মারা যায় অসংখ্য মানুষ। তাই হৃদরোগ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে প্রতিবছর ২৯ সেপ্টেম্বর সারাবিশ্বে পালন করা হয় বিশ্ব হার্ট দিবস।

আজ বিশ্বের ১৯৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে। ২০০০ সাল থেকে দিবসটি বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে । আসছে দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে হৃদরোগকে একনম্বর ঘাতকব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবছর ১ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ২০৩০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ৩০ লাখে।

ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন জানায়, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় পৌনে ২ কোটি মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। স্বাস্থ্যকর খাবার ও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ ছাড়া কারও পক্ষে হৃদরোগের ব্যাপারে ঝুঁকিমুক্ত থাকা কঠিন । অথচ হৃদরোগের ভয়াবহতার ব্যাপারে সেইভাবে প্রচারণা নেই। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শিশু এবং নারীরাই বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকে। সে কারণেই বারবার শিশু ও নারীর ও পর বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকগণ। তাদের মতে, এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে গোটা জীবন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। হার্ট সুস্থ রাখার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এদিকে ‘মাই হার্ট, ইওর হার্ট’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অসংক্রামক ব্যাধি হিসেবে হৃদরোগের অবস্থান শীর্ষে। একে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবেও ধরা হয়ে থাকে। বক্তারা বলেন, বর্তমানে হৃদরোগ বাংলাদেশে আশংকাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। তাই এ রোগটি প্রতিরোধে সবার আগে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। খাদ্যাভাস ও জীবনধারা পরিবর্তন করে হার্টকে সুস্থ্য রাখা সম্ভব। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগগুলোকে নিয়্ন্ত্রণে রাখতে হবে। শাক-সবজি, ফলমূল, পরিমাণমত এবং চর্বিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে, বাড়িয়ে দিতে হবে কায়িক শ্রম ও ব্যায়াম।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.