259486

অ্যাজমা ও হৃদরোগ রোগীদের জন্য করণীয়

ডেস্ক রিপোর্ট : বুকে কফ জমা বিশেষ করে রাতে শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া, বুকব্যথা, দ্রুত শ্বাস নেওয়া, সাইনোসাইটিস, ক্ষুধামান্দ্য, ওজন কমে যাওয়া, কোল্ড অ্যালার্জি, আঙুলের মাথাগুলো নীলাভ হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা, ডাস্ট অ্যালার্জি, বুকে কোনো কিছু চেপে বসে আছে বলে মনে হওয়া এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো ঘটনাগুলো অ্যাজমা রোগের লক্ষণ।

অ্যাজমা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আদা, দারুচিনি, তেজপাতা, তুলসী, বাসক, যষ্টিমধু, তালমিছরি, পিপল, মধু ইত্যাদি খুবই কার্যকর। এ ছাড়া গরম খাবার এবং গরম চা অ্যাজমা রোগীদের জন্য উপকারী।

হৃদরোগ : ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, স্থূলতা, হাইপারকোলেস্টেরলেমিয়া, জন্মগত বা বংশগত ত্রুটি ইত্যাদির কারণে হৃদরোগ হয়ে থাকে। হৃদরোগের উপসর্গগুলো হলো- বুকে ব্যথা (মনে হবে কেউ সুই দিয়ে হৃৎপিণ্ড খোঁচা দিচ্ছে), নাড়ির গতির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বাভাবিকতা, শরীরের রঙ ধূসর বা নীলাভ হয়ে যাওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন ইত্যাদি। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।

রসুন, পেঁয়াজ, মাছ, জলজ উদ্ভিদ, বাদাম, কালিজিরার তেল, জয়তুন তেল, সূর্যমুখীর তেল, অর্জুন ছাল, ডালিম, সয়া প্রোটিন, স্ট্রবেরি, গোলাপ ইত্যাদি হৃদরোগ প্রতিরোধে উপকারী। গুরুপাক জাতীয় খাবার (বিরিয়ানি, টিকিয়া, কাবাব, ফাস্টফুড), লাল মাংস, কলিজা, চিংড়ি, ইলিশ মাছ ইত্যাদি খাদ্য শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বিধায় এগুলো যতটা এড়িয়ে থাকা যায়, ততটাই মঙ্গল।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.