260848

‘আরশোলার দুধ’ গরুর দুধের চেয়েও তিনগুণ পুষ্টি বেশি!

ডেস্ক রিপোর্ট : ঘরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় আরশোলাকে৷ কিন্তু জানেন কি, একটি বিশেষ প্রজাতির আরশোলার দুধের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি৷ গরু বা মোষের দুধের চেয়ে যার পুষ্টিগুণ তিনগুন বেশি৷ সারবে অনেক রোগও৷ একটি গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে৷

এই গবেষণাপত্রের খোঁজ নেটিজেনরা পাওয়ার পর থেকেই এমন বিচিত্র আবিষ্কার নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে৷ যতই পুষ্টিকর হোক, তাই বলে আরশোলার দুধ৷ শুনলেই যেন ঘিনঘিন করে উঠে শরীর৷ কিন্তু যতই আপনার খারাপ লাগুক, এর পুষ্টিগুন ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, আরশোলার দুধে রয়েছে সুস্বাদু মিল্ক ক্রিস্টাল। কেবল সুস্বাদুই নয়, তার গুণাগুণও অনেক বেশি। গরু বা মোষের দুধের চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি।

এই বিশেষ প্রজাতির আরশোলার নাম প্যাসিফিক বিটল ককরোচ। এই আরশোলার শরীরে উৎপন্ন হয় দুধ৷
গবেষক দলের মতে,আরশোলার দুধে প্রাপ্ত ক্রিস্টালে প্রোটিন, ফ্যাট, সুগার তো আছেই।এছাড়া রয়েছে অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিডও।

তবে এই আরশোলা কিন্তু বাড়ির কোণে ঘুরে বেড়ানো আরশোলা নয়। এটি একটি বিশেষ প্রজাতির আরশোলা। অন্য আরশোলার মতো এরা ডিম পেড়ে বংশবিস্তার করে না। এরা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মতো বাচ্চা প্রসব করে।
এই ধরণের পোকা অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া যায়৷ গবেষকরা বলছেন আরশোলার শরীরে উৎপাদন হয় বিরল দুধের স্ফটিক৷ সেই থেকেই তৈরি হয় এই ঘন দুধ৷

কীভাবে আরশোলার দুধ সংগ্রহ করা হয়-

প্রথমে ব্রুড স্যাকে ডিমগুলি জমা হয়। এরপর, ডিমগুলি ভ্রূণে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে ব্রুড স্যাকটি আস্তে আস্তে তাদের পুষ্টিকর খাবার প্রদানের জন্য এক প্রকার তরল জাতীয় পদার্থ উৎপাদন শুরু করে। যাকে দুধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর জমা হওয়া ভ্রুণ থলি থেকে দুধ খেতে শুরু করে, যা তাদের পেটে দুধের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। ভ্রূণের শরীরে অতিরিক্ত দুধগুলি তাদের অন্ত্রে স্ফটিকের মতো এক প্রকার তরল পদার্থ গঠন করে। গর্ভবতী আরশোলার ব্রুড স্যাক থেকে ভ্রূণগুলিকে আলতোভাবে ছাড়িয়ে দিয়ে এই দুধ আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে, এই আরশোলার দুধ উৎপাদনের ধারণাটি অসম্ভব ব্যাপার। কারণ, এক হাজার আরশোলা থেকে মাত্র ১০০ গ্রাম দুধ পাওয়া সম্ভব।

উপকারিতা থাকলেও, এই দুধে মানুষের শরীরে টক্সিক প্রভাব বাড়িয়ে তোলে কিনা, তা নিয়েই চলছে গবেষকদের পরীক্ষা নিরীক্ষা৷ সূত্র: কলকাতা

পাঠকের মতামত

Comments are closed.