261173

বাণিজ্য মেলায় কেনাকাটায় জনতার উপচেপড়া ভিড়

ডেস্ক রিপোর্ট : মেলার ১৭তম দিন শুক্রবার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দেশি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন অফার ঘোষণা করেছে।

সরেজমিন মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলার গেটে প্রবেশের লাইনও লম্বা হতে দেখা গেছে।

বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই মানুষের ভিড়ে মেলায় পা ফেলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। মেলামুখী মানুষের স্রোতের কারণে মূল রাস্তার দুই দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

ট্রাফিক পুলিশকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খেতে হয়। অনেককে দূরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে মেলায় প্রবেশ করতে দেখা যায়।

মেলার গেট ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মীর শহিদুল ইসলাম বলেন, এবার মেলায় দর্শনার্থী তুলনামূলক কম। শুরুর দিকে বাণিজ্য মেলায় লোকসমাগম কম হয়েছে।

গড়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজার লোক এসেছে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৫ হাজার মানুষ মেলায় প্রবেশ করেছে। এ সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এবারের মেলায় যেসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- দেশীয় কোম্পানিগুলোর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, পাট ও পাটজাতপণ্য সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিশিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক সামগ্রী, মেলামাইন সামগ্রী, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ঘড়ি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ইমিটেশন জুয়েলারি, সিরামিকস, টেবিলওয়্যার, ক্যাবল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, আসবাবপত্র ও হস্তশিল্পজাত পণ্য, উপহার সামগ্রী, কনস্ট্রাকশন সামগ্রী, হোম ডেকর, বেকারি পণ্য।

পুরান ঢাকা থেকে মেলায় আসা আসাদুর রহমান বলেন, চাকরির কারণে শুক্রবার ছাড়া অবসর সময় পাই না। প্রতিবার মেলায় ঘুরতে আসি। শুক্রবার এবারের মেলায় প্রথম এলাম।

মেলার পুরো প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখার ইচ্ছা আছে। ঘুরতে ঘুরতে কিছু পছন্দ হলে কিনব। তবে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য কেনার জন্য মেলায় আসিনি। মেলায় আসার মূল উদ্দেশ্য পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরি করা।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আজমত হোসেন বলেন, মেলার প্রথম থেকে পরিবার নিয়ে আসার ইচ্ছা ছিল। সময় সুযোগ করতে না পারায় এতদিন আসা হয়নি। ছুটির দিন থাকায় চলে এসেছি। পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু গৃহস্থালি সামগ্রী কেনার পরিকল্পনা আছে।

মেলায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নানা ছাড় ও অফার দিচ্ছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলায় দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্র্যান্ড যমুনা ইলেকট্রনিক্স ক্রেতাদের জন্য লোভনীয় সব অফার নিয়ে এসেছে।

মেলায় যমুনার পণ্য কিনলেই ক্রেতা পাবেন ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। পরবর্তী সময়ে যমুনা পণ্য কেনার সময় ভাউচার ব্যবহার করা যাবে। এর সঙ্গে পণ্যভেদে ১০-২৯ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত মূল্য ছাড় রয়েছে।

পাশাপাশি ‘ছোট দামে বড় ফ্রিজ’ অফারের আওতায় যমুনার ৩৩৩ লিটার গ্লাস ডোর ফ্রিজ পাওয়া যাবে ৩০ হাজার ৪৪০ টাকায়। ২৪৯ লিটার ফ্রিজ ২৫ হাজার ৮০০ টাকায়, ২৩২ লিটার ফ্রিজ ২৩ হাজার ৬২৫ টাকায়, ১৯৩ লিটার ফ্রিজ ২১ হাজার ৬০০ টাকায়, ১৭০ লিটার ফ্রিজ ২১ হাজার ৪২০ টাকায়।

এ ছাড়া যমুনার পেগাসাস মোটরবাইকেলের সঙ্গে থাকছে ফ্রি এলইডি টিভি অথবা রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের সমপরিমাণ টাকার ডিসকাউন্ট।

যমুনা ইলেকট্রনিক্সের হেড অব ট্রেড মার্কেটিং রেজাউর রহমান বলেন, যমুনা ইলেকট্রনিক্স মুনাফার চাইতে ক্রেতার সন্তুষ্টিকে বেশি প্রাধান্য দেয়। তাই মেলায় ক্রেতাদের জন্য বেশি ছাড় দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সাশ্রয়ী দামে সর্বোচ্চ মানের পণ্য ক্রেতার হাতে তুলে দিতে যমুনা কর্তৃপক্ষ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। ক্রেতাদের জন্য প্রতিনিয়ত নিয়ে আসছে নিত্যনতুন ডিজাইনের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী।

মেলায় রিফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, মোটরসাইকেল, এলইডি টিভি, স্মল অ্যাপ্লায়েন্সে ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সূত্র : যুগান্তর

পাঠকের মতামত

Comments are closed.