259547

‘ড্রাই আই’ রোগে ভুগছেন দেশে ৬০ ভাগ মানুষ!

ডেস্ক রিপোর্ট : চোখের ভাষায় মানুষের মনের ভাষা প্রকাশ হয়ে থাকে। এই চোখ দিয়েই আমরা আমাদের সুন্দর পৃথীবিটাকে দেখে থাকি। নানান স্বপ্ন দেখি। তবে, এই চোখ মাঝে মধ্যে হয়ে যায় পানি শূন্য। আমাদের চোখের প্রায় ৭৫% অংশই পানি। আর এই পানি শুকালে চোখে সৃষ্টি হতে পারে নানা সমস্যা। চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া অন্যান্য কিছু রোগেরও লক্ষণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘ড্রাই আই’ বলে।

আশেপাশে ধুলাবালি চোখের শুষ্কতার জন্য দায়ী। চোখে কিছু কাঁটার মতো লাগা, কিছু বিঁধে থাকা, চোখ দিয়ে পানি পড়া চোখের শুষ্কতার পূর্ব লক্ষণ। তাছাড়া কালো ধোঁয়া, গরম ঠান্ডা মিশ্রিত বাতাস চোখের শুষ্কতার কারণ। চোখের অভ্যন্তরে থাকা পানির অংশ কমতে থাকলেও চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। যার কারণে মাথাব্যথা থেকে জ্বর এবং নাকবন্ধ রোগও হয়ে থাকে।

কর্নিয়ারে শুস্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশী নারীরা। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কর্নিয়ার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ আব্দুল কাদের জানান, মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের পানি ” প্রিকর্নিয়ালটি আরফিল টি আরফিল ”Precorneltear film” চোখের পানির পরিমান কমে যাওয়াতে (২) বিশেষ করে মহিলাদেও মেনুপোস বয়সে পানির পরিমাণ কমে যায়, (৩) অতিরিক্ত অপ্রোয়জনীয় চোখের ড্রপ ব্যবহার করলে চোখের পানি তৈরী কমে যায়, (৪) আবহাওয়া গত বায়ুদোষনের কারণে, (৫) চোখের পাতায় অসুখ (Blepharitis Meibomian, Gland Dys funetion (MGD) (৬) ডিভাইস, কম্পিউটার, মোবাইল ব্যবহারের কারণেও চোখের পানি কমে যাওয়াতে যে সব সমস্যা তৈরি হয়। যেমন- চোখে বালি বালি অনূভব করা। চোখ হালকা লাল হয় এবং চুলকাবে। এমনকি আলো সহ্য করতে পারবে না।

এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যন্ত্রণা দেখা দিয়ে থাকে সাধারণত দুপুরের পর থেকে। যতোই দিন গড়াবে ততোই এর যন্ত্রণা দ্রুত বাড়তে শুরু করবে। তখন বুঝতে হবে যে চোখের পানির অভাব হয়েছে। এই রোগের স্থায়ী কোনো চিকিৎসা না থাকিলেও চিকিৎসা আছে ।

ডা. কাদের বলেন, এই রোগে বেশির ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। রোগটি শুধু অসচেতনতার কারনেই মূলত হয়ে থাকে। বিশেষ করে কম্পিউটার, মোবাইল ব্যাবহারের সময় দ্রুত চোখের পলক ফেলাসহ ঘন ঘন চোখের প্রয়োজনে কাজে বিরত দিতে হবে। যেসব কারণে চোখ ড্রাই হচ্ছে, সে সব কাজ হতে বিরত থাকাই হচ্ছে চিকিৎসার একটি অংশ। এসব রোগের উপসর্গ দেখা মাত্রই যে সব ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তার মধ্যে আরটিফিসিয়ালটিয়ার, টিয়ারফ্রেস, ল্যাকক্রিমা, ড্রাইলাইফআরো ছাড়াও অনেক নামে ঔষধ রয়েছে বাজারে protear।

তবে, এসব চিকিৎসার পূর্বে ডাক্তারদের পরামর্শে অবশ্যই নিতে হবে বলেও জানান তিনি। কেন না প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতিটা এমন যে চোখে পানি থাকার পরেও যদি ওষুধ ব্যবহার হয় তাহলে চোখে পানি তৈরি হবে না । যে সব রোগীদেও চোখের পাতায় সমস্যা রয়েছে, সেই সব রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে প্রতিদিন রাতে ১০ মিনিট করে ভেজা গরম সেঁকের পর ২ মিনিট ম্যাসেস করলে চোখের এই রোগ হতে আরমা পাওয়া যায়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.